ডেস্ক রিপোর্ট : পোশাক খাতের সংস্কারে প্রাথমিকভাবে ধারণার তুলনায় আরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি। এর কারণ হিসেবে অ্যালায়েন্স বলেছে, অগি্ননির্বাপণে ব্যবহৃত স্প্রিকংলার, ফায়ারডোরসহ গ্রহণযোগ্য মানের উপকরণ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় না। এসব উপকরণ আমদানিতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। অ্যালায়েন্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলেন টাওসার সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জোটের এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। তবে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত বাংলাদেশে থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বিবৃতিতে। অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যালেয়েন্সের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংস্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। প্রায় তের লাখ শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রকে ইতিমধ্যে নিরাপদ করা সম্ভব হয়েছে। তাদের ধারণা, ২০১৮ সালের মধ্যে সংস্কারের বড় অংশ শেষ করা যাবে। তবে এ সংস্কার একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয় নয়। বরং একটা চলমান প্রক্রিয়া। ২০১৮ সালের পরেও সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে। সম্প্রতি অ্যালায়েন্স এবং অ্যাকর্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কয়েকটি সংগঠনের সমালোচনার জবাবে এ বিবৃতি দেওয়া হলো। ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম, ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন, ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম ও মাকিলা সলিডারিটি নেটওয়ার্ক ওই অভিযোগ তুলেছে। দুই জোটের ক্রেতাদের রফতানি আদেশ সরবরাহ করে- এমন কারখানাকে ঘিরে ওই সমালোচনা করা হয়। অবশ্য, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও অভিযোগ, এক জোট অন্য জোটের পরিদর্শন মূল্যায়ন মানে না।
অ্যালায়েন্সের বিবৃতিতে অবশ্য আরও বলা হয়, অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স সুসম্পর্কের ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত বৈঠক হয়। এ দেশের লাখ লাখ শ্রমিকের নিরাপত্তায় দুই জোট একসঙ্গে কাজ করছে। এদিকে সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির (আইটিসি) চেয়ারম্যান বারন্ড লাঙ্গা বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষেও এ দেশে সংস্কার বিষয়ক ক্রেতাজোট ইউরোপের অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ দেশে জোট দুটির ৫ বছরের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা। বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু সমকালকে বলেন, দুই জোটের কোনো কোনো ক্রেতা নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় বাংলাদেশে সংস্কার কাজে থাকতে চায়। এ বিষয়ে নানাভাবে ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের সন্দেহ, নির্ধারিত সময়ে সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ হবে না।
মতামত লিখুন :