Logo

মানবসম্পদ বিভাগের দক্ষ প্রধান কর্মকর্তারাও হতে পারেন প্রতিষ্ঠানের সফল মুখ্য কর্মকর্তা

RMG Times
সোমবার, অক্টোবর ৯, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

জীবনের গতিপথ সরুগলি থেকে কখনো শেষ হয় রাজপথে, আবার কখনো সেই সরুগলিতে গোলকধাঁধার মত পথ হারিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শেষ অবধি সেইখানেই আটকে থাকে। যারা সরুগলি থেকে রাজপথে আসীন হয় তাদের জীবনটাও যে খুব সহজ, খুব স্বাভাবিক তা ভাবাও যেমন অবান্তর তেমনি যারা সরুগলির আবর্তেই রয়ে যায় তাদের জীবনটাও যে কণ্টকমুক্ত এটা ভাবাও ভুল। প্রতিনয়ত জীবন সংগ্রাম চলছে তো চলছেই!

হালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুজনের দেয়া স্ট্যাটাস থেকে একটি আহাজারি শুনেছি বারংবার, তা হল “ এইচআর, কমপ্লায়েন্স থেকে কেউ আজ পর্যন্ত সিইও/ কিংবা অপারেশন চীফ পদে যেতে পারলোনা”, সেই সব স্বপ্নচারীদের জন্য আশার আলো নিয়ে এলো আমাদের আজকের সফলতার গল্প। আর যার নায়ক হলেন জনাব আরমানুল আজিম! আমাদের আজকের সফল মানুষ। অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র–ভদ্র এই মানুষটির সাথে দুদণ্ড কথা বললেই তাকে যে কেউ পছন্দ করবে এটা নিশ্চিতরূপে বলা যায়।

সম্প্রতি জনাব আরমানুল আজিম বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প জগতে পরিচিত নাম দেশের স্বনামধন্য পোশাক প্রস্তুতকারক নরদান তসরিফা গ্রুপের চীফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন! তাঁর সাথে কথা বলে সফল ক্যারিয়ারের গল্পকথা লিখেছেন আরএমজি টাইমসের লেখক ফোরামের নিয়মিত লেখক ও মানবসম্পদ প্রশিক্ষক মি. তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল।

চঞ্চল : আপনার ছেলেবেলা সম্পর্কে কিছু বলুন।

আরমানুল আজিমঃ আমার ছেলেবেলা অত্যন্ত আনন্দে কেটেছে। বরাবরই খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল। যদিও কোন খেলাতেই খুব ভাল পারফর্মেন্স ছিলনা কিন্তু তবুও খেলাধুলায় আগ্রহের কমতি ছিলনা। একদম যে খারাপ খেলতাম তা নয় তবে আমার অংশগ্রহণ ছিল মাঝারী মানের। ছেলেবেলায় একটা দীর্ঘ সময় যেমন আমার শৈশব, কৈশোর এবং ছাত্রজীবন কেটেছে মিরপুরে। সেইসব ফেলে আসা দিন এবং তার স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে!

চঞ্চল : আপনার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলুন।

আরমানুল আজিমঃ আমার বাবা মা দুজনেই সরকারী চাকুরীজীবী ছিলেন। বাবা ২০০৩ ইং সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন , তিনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন; লিরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ, মাগুরা পেপার মিল অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি ২০০৭ ইং সালে অবসর গ্রহণ করেন।

আমরা ৩ ভাইবোন আর আমি সকলের বড়। ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ভাই, সে বর্তমানে এমিরেটস এন বি ডি (ডুবাই) ব্যাংকে সিনিয়র রিলেশনশীপ ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছে। ভাইবোনের মধ্যমণি একমাত্র বোনটিও ব্যাংকার সে প্রাইম ব্যাংকে এভিপি হিসাবে কর্মরত।

ব্যক্তিগত জীবনে আমি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ছেলে পার্থিব ৭ম শ্রেণীতে এবং মেয়ে রোদেলা ৩য় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। আমার সহধর্মিণী অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হলেও গৃহকর্ত্রীর পেশায় নিয়োজিত থাকাকেই শ্রেয় বলে মনে করেন।

পরিবার থেকে সততা, নিষ্ঠা ও নিয়মানুবর্তিতার যে শিক্ষা সবসময় পেয়েছি তার ধারাবাহিকতা পরবর্তীতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও কর্মজীবনে বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

চঞ্চল : আপনার ছাত্রজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।

আরমানুল আজিমঃ আমি মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করি আর এইচএসসি করি সরকারী বিজ্ঞান কলেজ থেকে। গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্স করি বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছিল। আমি হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। এরপর ইউকে এর ইউনিভার্সিটি অফ হার্ডফোর্ডশ্যায়ার থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করি।

চঞ্চল : আপনি ইউকে থেকে এমবিএ করেও কেন পোশাক শিল্পের মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগে কাজ করাকে পেশা হিসাবে বেছে নিলেন?

আরমানুল আজিমঃ সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে চাকুরীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য স্থির করেও কোন লাভ হয়না কিংবা আমাদের আসলে কোন লক্ষ্যই থাকেনা। আর তাই একমাত্র ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া বাকীদের চাকুরীর শুরুটা কোথায় হবে এটা বলা মুশকিল। আসলে পড়াশুনা শেষ করে যখন দেশে ফিরলাম সেধরনের কোন চিন্তাই কখনও মাথায় আসেনি। পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগে চাকুরী পাওয়ার পর যখন ১/২ বছর কাটালাম, তখন কেমন একটা ভালোলাগা কাজ করলো আর এটাও উপলব্ধি করলাম যে মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স একটা ভাল ট্র্যাক হতে পারে যার মাধ্যমে আমি নিজেও এগিয়ে যেতে পারবো এবং দশের জন্য কাজ করতে পারবো। সেই ভালোলাগা থেকেই অনেক বাঁধা, বিপত্তি, প্রতিকূলতা পেরিয়েও আজও এই সেক্টরেই রয়ে গেলাম।

চঞ্চল : আপনার কর্মজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।

আরমানুল আজিমঃ মাস্টার্স পাশ করার পর, আমার চাকুরী জীবনটা শুরু হয় একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানীতে হিসাব বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে। কিছুদিন হিসাব বিভাগে কাজ করার পর কেন জানি মন সায় দিচ্ছিলনা। একসময় উপলব্ধি করলাম যে এই কাজ আমি উপভোগ করছিনা! ইতিমধ্যে মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স এর কাজ বিষয়ে এর ওর কাছে শুনে ও নিজে দেখে স্থির করলাম যে যেকোনো ভাবে এই বিভাগে একটা কাজ ম্যানেজ করতে হবে। এই পেশার প্রতি আমার দুর্বলতার বীজ বপন হয়েছিল কিন্তু আমার নিজের ঘরেই। কারণ আমার বাবা নিজেই প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করতেন। এরপর আমি মনেপ্রাণে একটা সুযোগ খুঁজতে থাকি। অতঃপর সেই কনস্ট্রাকশন কোম্পানীতে ২ বছরের কিছু বেশী সময় কাজ করার পর একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগে ব্যবস্থাপক হিসাবে যোগদান করি। সে প্রতিষ্ঠানে কাজ করার দুই বছরের মাথায় আমি জিএম হিসাবে পদন্নোতি লাভ করি। যেহেতু আমি উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সন্তান তাই পরিবারের সকলের উৎসাহ থাকায় এরপর আমি উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য ইউকে তে পাড়ি জমাই এবং এমবিএ করি। অতঃপর দেশে ফিরে ২০০৪ সালে ওপেক্স গ্রুপে জিএম (এইচআর এন্ড কমপ্লায়েন্স) হিসাবে কাজ শুরু করি। সেখানে আমি প্রায় ৩ বছর কাজ করার পর ডার্ড গ্রুপে একই পদে কাজ করি প্রায় ১ বছর। পরবর্তীতে লেনি ফ্যাশনে ৪ বছর কাজ করি এইচআর, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের জিএম হিসাবে। আমি ২০১১ সালে আমার বর্তমান প্রতিষ্ঠান নরদান তসরিফা গ্রুপে যোগদান করি জিএম হিসাবে এবং অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর ২০১৭ ইং সালে আমি চীফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে পদন্নোতি লাভ করি।

চঞ্চল : চাকুরী জীবনে আপনি কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন এবং কিভাবে তা মোকাবিলা করলেন?

আরমানুল আজিমঃ চ্যালেঞ্জ ছাড়া কর্মজীবন হল ব্যতিক্রম আর চাকুরী জীবনে কণ্টকমুক্ত পথ থাকবেনা এটা ভাবাও অবান্তর। আমার কর্মজীবনেও তার বাইরে ছিলনা , আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং তা অতিক্রম করেই আজকের অবস্থানে আসীন হয়েছি। আমাদের পোশাক শিল্পের বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানেই পরিচালকসহ অন্যান্য বড় পদ আসলে মালিকের আপনজন কিংবা নিকটআত্মীয়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সেখানে পরিবারের সদস্য নয় এমন তরুন কিংবা নবীন যুবকরা জিএম এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছে এমন উদাহরণ সংখ্যায় অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করতে গিয়ে দেখেছি আমার সহকর্মীরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী বড় কর্মকর্তা কিংবা পুলিশ/ সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত বড় কর্মকর্তা। যারা অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে কাজ করছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের অনেকেই আমার মত নবীন (বয়সের দিক থেকে) কে উচ্চপদে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেন নি। হয়ত তারা ভাবতেন আমি এতো ছোট হয়ে সব কিভাবে সামলাবো! কিন্তু পরবর্তীতে কাজের ক্ষেত্রে আমার দক্ষতা দেখিয়ে তাদের সেই বদ্ধমূল ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের অনেকের সাথেই আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছে। অপরদিকে আমাদের পোশাক শিল্পে এইচআর কমপ্লায়েন্স বিভাগে কাজ করে উৎপাদন বিভাগের সাথে কিঞ্চিৎ দন্দে জড়ায়নি এমন লোকের সংখ্যাও খুবই কম। ফ্যাক্টরীতে সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনা করতে হলে উৎপাদন বিভাগ সহ অন্য সকলের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা এবং কর্মকাণ্ডে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে কাজ সম্পাদন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জও সাফল্যজনক ভাবে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি।

চঞ্চল : আপনার কর্ম জীবনের লক্ষ্য কি ছিল? বর্তমান পদে পৌঁছাতে আপনার ভুমিকা কি ছিল?

আরমানুল আজিমঃ আগে যেমনটি বলেছি, শুরুর দিকে আমার উল্লেখযোগ্য কোন লক্ষ্য ছিলনা। মূলতঃ পোশাক শিল্পে যোগদানের পর থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করি। আর তা হল কোন বড় গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়া। সেই লক্ষ্য অর্জনেই অবিরত কাজ করে যাচ্ছি। আমি মনে করি আমার বর্তমান পদে আসীন হওয়ার ক্ষেত্রে আমার সাহস, সততা, অক্লান্ত পরিশ্রম, শেখার আগ্রহ ও পারিবারিক শিক্ষাকে বাস্তবে প্রয়োগ অত্যন্ত জোরালো ভূমিকা রেখেছে।

চঞ্চল : আপনার কর্মজীবনের আলোকে কোন পরামর্শ দিন যা সকলকে উৎসাহিত করবে।

আরমানুল আজিমঃ আমি কাজের মাঝে নিরন্তর আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি যার ফলে কোন কাজকে কঠিন মনে হয় না। একই বিষয় আমার সহকর্মীদের মাঝেও ছড়িয়ে দিই। আমি যেখানেই কাজ করি সেখানে দলবদ্ধ কাজকে উৎসাহিত করি। প্রত্যেকের মতামত কে গুরুত্ব দিই। অন্যকে শুনি জানি বুঝি। আমি বিশ্বাস করি এভাবে কাজ করলে কাজের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে।

চঞ্চল : আপনার ব্যাক্তিগত ভালোলাগা, শখ, পছন্দ, অপছন্দের কথা বলুন।

আরমানুল আজিমঃ পরিবারের সাথে সময় কাটাতে ভাল লাগে, ভাল লাগে ভ্রমণ, সিনেমা দেখা ইত্যাদি। যদিও সময়ের অভাবে এসব আর তেমন হয়ে ওঠেনা কিন্তু ভালোলাগা তো আছেই।

কোন কাজ আমি পারিনা কিন্তু অন্য কেউ করতে পারছে বা পারে সেক্ষেত্রে তাকে কাজ করতে বাঁধা দেয়া আমার অপছন্দ। আমাদের এহেন মানসিকতা পরিহার করা উচিৎ। এ ধরণের কর্মকাণ্ডকে আমি ঘৃণার চোখে দেখি। আর সবচেয়ে বেশী অপছন্দ হল কারও অবর্তমানে তার সমালোচনা করা। এ ধরণের গীবত কারীদেরও আমি ঘৃণা করি।

চঞ্চল : আপনার কি মনে হয়, কেন আপনাকে বর্তমান পদে পদন্নোতি দেয়া হল?

আরমানুল আজিমঃ ২০১৫ সাল থেকেই আমাদের নতুন একটি ইউনিটের কাজ শুরু হয় যার নাম তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ( ফেব্রিক) । আমি এই প্রোজেক্টের প্রধান হিসাবে সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।এছাড়াও দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে প্রতিষ্ঠানের সকল সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জিনিসগুলো জেনেছি এবং সেসকল মাথায় রেখেই কাজ করেছি যা সিওও পদে আসীন হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি কর্তৃপক্ষ আমাকে পদন্নোতি দেয়ার সময় এই বিষয়গুলি বিবেচনা করেছেন।

চঞ্চল : বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টরে নবাগত কিংবা কর্মরত তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

আরমানুল আজিমঃ তরুণদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো “বেটার লেট দ্যান নেভার” হয়ত আপনি এখনও জানেন না আপনার লক্ষ্য কি , আপনি কি করবেন। তবে কর্মক্ষেত্রে স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ জরুরী। লক্ষ্যহীন কাজের ফলাফল সুখকর হয়না। তাই ছোট হোক বড় হোক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাজ করে যান। সফলতা আসবেই। মাঝপথে থেমে যাবেন না, হয়ত সমস্যা আসবে সেক্ষেত্রে সমস্যা থেকে দূরে চলে গেলে তার সমাধান যেমন হবেনা আপনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেও পৌঁছাতে পারবেন না। তাই সমস্যাকে জয় করেই সামনে এগিয়ে যান।

যারা এই সেক্টরে নবাগত আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টসই একমাত্র সেক্টর যেখানে আপনার দক্ষতা দিয়ে আপনার ভাল কাজ দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে উন্নতি করতে পারবেন।