Logo

গ্রিন কারখানা নির্মাণে সহযোগিতা করবে কানাডা: কানাডিয়ান হাইকমিশনার

Fazlul Haque
বুধবার, মার্চ ২৩, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ধ্রুব সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে সবুজ প্রযুক্তির কারখানা করতে চাইলে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনিয়ট পিয়েরে লেরেমি।

BGMEA-(2) (1)

তিনি বলেন, কানাডার ব্যবসায়ীরা দেশটিতে সবুজ প্রযুক্তির কারখানায় প্রায় ১১ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগ করেছে। রানা প্লাজার পর গার্মেন্টস খাতের সংস্কারে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব কারখানা প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রগতি হচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সবুজ প্রযুক্তির কারখানার দিকে এগোচ্ছে; চাইলে তারা কানাডার সবুজ প্রযুক্তির বিষয়ে ধারণা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কানাডা সার্বিক সহযোগিতা করবে।

মঙ্গলবার পরিবেশ বান্ধব পোশাক কারখানা নির্মাণ বিষয়ে বিজিএমইএ ও কানাডিয়ান হাই কমিশন আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার।

বিজিএমইএ’র অ্যাপারেল ক্লাবে ‘গ্রিনিং আরএমজি এজ সিএসআর ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই সেমিনারে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পরিবেশ রক্ষা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোকপাত করেন বিশেষজ্ঞরা।

২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই রপ্তানিতে আয় করতে চায় ৫০ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিবেশবান্ধব ও সবুজ প্রযুক্তিতে বিশেষ নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়ন, সাশ্রয়ী উত্পাদন, ক্রেতাদের অগ্রাধিকার ও তুলনামূলক বাড়তি দর পেতে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষত নতুন কারখানা ভবন নির্মাণে সবুজ প্রযুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বেনিয়ট পিয়েরে লেরেমি জানান, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ থেকে কানাডা প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে।

এ সময় তিনি, কারখানার কর্ম পরিবেশ বৃদ্ধি, নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি, শ্রমিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গ্রিন কারখানা নির্মাণে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়ে পিয়েরে ল্যারামি, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, একেএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফল হিসেবে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সনদ পেয়েছে দেশের ২৬ কারখানা। আরও ১০০ কারখানা আছে সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।