Logo

এইচএন্ডএমের সাপ্লায়ার কারখানায় ৬২% সংস্কার হয়েছে

Fazlul Haque
বুধবার, মার্চ ২৩, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

সোয়া দুইশ কারখানাকে সংস্কারে গতি বাড়ানোর তাগিদ, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক ত্রুটি মে মাসের মধ্যে সমাধানের আলটিমেটাম

রিয়াদ হোসেন: এককভাবে দেশের গার্মেন্টসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচএন্ডএম তাদের অর্ডার সরবরাহ করে এমন কারখানাগুলোর চলমান সংস্কার কাজে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে। ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানা সংস্কার কার্যক্রম তদারক জোট অ্যাকর্ডের প্রথম স্বাক্ষরকারী ও প্রভাবশালী সদস্য। গতকাল তাদের অর্ডার সরবরাহ করে এমন দেড় শতাধিক কারখানা মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এইচএন্ডএমের কারখানায় গড়ে ৬২ শতাংশ সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। অবশ্য এ তথ্য সংশ্লিষ্ট কারখানামালিকদের কাছ থেকেও আলাদাভাবে নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিরা।

রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দিনব্যাপী তিন ধাপে কারখানা মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ব্র্যান্ডটি। তাদের সাপ্লায়ার দেড় শতাধিক কারখানা মালিকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক পরিচালনা করেন এইচএন্ডএমের বাংলাদেশ অফিসের প্রধান রজার হুবার্ট। বৈঠকে ইউরোপীয় ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড (অ্যকর্ড অন ফায়ার এন্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ) ছাড়াও বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অবশ্য এর আগে কারখানা মালিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রাথমিক পরিদর্শনে ধরা পড়া অগ্নি ও বৈদ্যুতিক ত্রুটি আগামী মে মাসের মধ্যে সংস্কারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। যদিও এ সময়সীমা নিয়ে কিছু কারখানা মালিক আপত্তি তুলে বলেছেন, এত স্বল্প সময়ে এটি কার্যত অসম্ভব।

তবে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, এইচএন্ডএমের পক্ষ থেকে কারখানা মালিকদের সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, তারা চায় না তাদের কোনো সাপ্লায়ারের কারণে ‘এইচএন্ডএম ব্র্যান্ডের’ দুর্নাম হোক। আর কোনো রানা প্লাজা কিংবা তাজরীন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য কারখানা মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য চলমান সংস্কার কাজে গতি বাড়াতে হবে। তবে ব্র্যান্ডটির পক্ষ থেকে এও বলা হয়, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এইচএন্ডএমের পোশাক সরবরাহ করা কারখানাগুলোর গড়ে ৬২ শতাংশ সংস্কার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আমরা বলেছি, অ্যাকর্ডের পাশাপাশি মালিকপক্ষের কাছ থেকেও সংস্কার অগ্রগতির পরিসংখ্যান নেয়া দরকার।

প্রসঙ্গত সুইডেনভিত্তিক এই ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে এমন কারখানার সংখ্যা সোয়া দুইশ। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকেও পোশাক ক্রয় করে তারা। এইচএন্ডএম ছাড়াও সিওএস, মঙ্কি, উইকডে, চিপ মানডেও তাদেরই অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী ৩ হাজার ৯শ আউটলেট রয়েছে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক