Logo

শ্রমবৈষম্য কমিয়ে বাংলাদেশ এসজিডি অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে: আইএলও

RMG Times
বুধবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : শোভন কাজের মাধ্যমে শ্রম বৈষম্য কমিয়ে অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসজিডি) অর্জনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ৮ নং লক্ষ্যমাত্রাটি বাংলাদেশ সহজেই অর্জন করতে পারবে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংসস্থান মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও।

260-x-75_ilo-logo

মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও হোটেলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং আইএলও এর মহাপরিচালক গুই রাইডার। এসময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আইএলও মহাপরিচালক গুই রাইডার বলেন, “বাংলাদেশে ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক’ বা শোভন কাজের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে সরকার, নিয়োগকারী ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা র্কাযকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে আগামী দিনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।”

তিনি গত চার দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “কর্মসংস্থান শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত উন্নতির সম্ভাবনা, পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে ডিসেন্ট জব বা শোভন কাজ যা বাংলাদেশে লক্ষ্যণীয় হয়েছে।”

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৮ নম্বরটিতে সুনর্দিষ্টিভাবে সবার জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এর সঙ্গে সোস্যাল ডায়ালগের সফলতা আনয়নের লক্ষ্যে ডেনমার্ক ও সুইডেনের সহায়তায় একটি যৌথ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া, দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকায়নসহ দক্ষতা উন্নয়নে ‘স্কিল-২১ এম্পাওয়ারিং সিটিজেন্স ফর ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইনেবল গ্রোথ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প শুরু হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এর ফলে একটি দক্ষ ও উৎপাদনশীল শ্রমশক্তি ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, “টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিশ্চয়তায় আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য যে দক্ষ শ্রমশক্তির প্রয়োজন রয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জনে সরকার সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে আট হাজার রেজিস্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাক কারখানায় ৪০০ নতুন ট্রেড ইউনিয়নকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে।” যারাই নতুন ট্রেড ইউনিয়ন করার আবেদন করছে তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হচ্ছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।