Logo

দেশের পোশাক খাতে শ্রমিক সংকট, সমাধানে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ

RMG Times
বুধবার, জানুয়ারি ১২, ২০২২
  • শেয়ার করুন

আরিফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে চলমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় সরকারি সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু শ্রমিক পেলেই হবে না, প্রয়োজন দক্ষ এবং আধা-দক্ষ শ্রমিক।

ঢাকার উত্তর খানে অবস্থিত নিপা গ্রুপের পাঁচটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করতো। করোনা কালে দুই দফায় গ্রামে গিয়ে আর কাজে ফেরেনি প্রায় ১ হাজার শ্রমিক।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক খসরু চৌধুরী বলেন, “আমাদের কাখানায় ১৫-২০ শাতাংশ শ্রমিক কমে গেছে। সবকিছু চিন্তা করে নতুন শ্রমিক নিয়ে ও নতুন মেশিন কিনে রপ্তানীর প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব নয়।”

শুধু নিপা গ্রুপেই নয়, দেশের প্রায় সকল কারখানায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। বিজিএমইএ’র হিসাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক সংখ্যা ৪০ লক্ষ বলা হলেও গত কয়েক বছর ধরে শ্রমিক কমার প্রবণতা লক্ষণীয়। সংগঠকদের দাবি, করোনার প্রভাবে এই শ্রমিক কমার হার ১৫-২০ শতাংশ হয়েছে।

প্লামি ফ্যাশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফজলুক হক দাবি করেন, দক্ষ শ্রমিকের অভাবের বিষয়টি নতুন নয়। তবে বর্তমানে অধিক অর্ডারে চাপের কারণে নতুন শ্রমিক নিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে তোলার সুযোগও নেই। এই অভাব খুব দ্রুত দূর হবেনা বলেও তিনি ধারণা করেন।

বিজিএমইএ বলছে, তাদের অধীনে ১২ টি ট্রেনিং সেন্টারে নতুন শ্রমিকদেরকে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম মনে করেন, এমতাবস্থায় শুধু লোক হলে সমস্যার সমাধান হবে না। প্রয়োজন দক্ষ শ্রমিক, যে কিনা মেশিনে বসা মাত্রই উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

মাছরাঙ্গা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয় করে সরকারকে এই সমস্যা সামনে এগিয়ে আসতে হবে। তা না-হলে দেশের পোশাক বাণিজ্য ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার দ্বার প্রান্তে।

শ্রমিক সংকট নিয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের  (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, “১৫ থেকে ২০ শতাংশ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। সেজন্য আমরা সময়মতো অনেক অর্ডারই করতে পারছি না। যে পরিমাণ অর্ডার আমি নিতে পারতাম আমার কারখানার জন্য, আমি সে পরিমাণ অর্ডার আগামী জুন পর্যন্ত শ্রমিক ঘাটতির জন্য নিইনি।”

শ্রমিকদেরকে পুনরায় কাজে ফেরাতে তাদের বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।