Logo

এলডিসি সুবিধা বন্ধ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বিজিএমইএ, পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি চলছে

RMG Times
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৬, ২০২২
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত সংলাপটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি ও বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ফারুক হাসান বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিজিএমইএ সরকার ও ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফলে কোটা ও শুল্ক মুক্ত সুবিধাহীন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের টিকে থাকা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তাদের কৌশল হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেওয়া। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৬ সালের পরে যে বাড়তি তিন বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ দেবে, আলোচনার মাধ্যমে তা বাড়ানো। বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা চায়। এরপরে বিজিএমইএ ইইউর সঙ্গে জিএসপি প্লাস নিয়ে আলোচনা করবে। তবে পোশাক মালিকরা চান এই সময়ের মধ্যে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করবে।

বিজিএমইএ সব সময় পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। এখনও করে চলেছে। এই সংগঠনটিতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সবাই পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনিও উত্তরসূরিদের মত করে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনার প্রভাব মোকাবেলায় পোশাক খাতের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ধরনের চার্জ ও ফিস কমানো হয়েছে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণের কাজ চলছে। কৃত্রিম তন্তুর পোশাক যাতে দেশে বেশি তৈরি হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। এক কথায় বিজিএমএর ভূমিকা ভবিষ্যৎমুখী করার চেষ্টা চলছে।

এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে পোশাক খাতের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, করোনা মহামারী এবং দেশিয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাব সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।