শব্দদূষণ বলতে মানুষের বা কোনো প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। পোষাক কারখানা থেকেও দূষণ সৃষ্টিকারী এরকম তীব্র শব্দের উৎপত্তি হয়। মানুষ সাধারণত ২০ থেকে ২০ হাজার হার্জের কম বা বেশি শব্দ শুনতে পায় না। তাই মানুষের জন্য শব্দদূষণ প্রকৃতপক্ষে এই সীমার মধ্যেই তীব্রতর শব্দ দ্বারাই হয়ে থাকে।বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন জোরালো এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ মানুষের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে বিরক্তি ঘটানো এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করাই শব্দ দূষণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা ০-২০ ডেসিবেল, মৃদু মাত্রা ২১-৪০ ডেসিবেল, মাঝারি বা সহনীয় মাত্রা ৪১-৭০ ডেসিবেল, তীব্র মাত্রা ৭১-৯০ ডেসিবেল, অসহনীয় মাত্রা ৯১-১২০ ডেসিবেল। সবচেয়ে নীরব এলাকায় ৫০, আর শিল্প এলাকায় সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ থাকার কথা। মানুষ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবেল শব্দে কথা বলে। ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ১২০ ডেসিবেল শব্দের মধ্যে থাকলে আপনার কান সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে, তাহলে ক্রমশ শ্রবণশক্তি নষ্ট হবে।
মানুষের কান যেকোনো শব্দের ব্যাপারে যথেষ্ট সংবেদী। তাই তীব্র শব্দ কানের পর্দাতে বেশ জোরে ধাক্কা দেয়, যা কানের পর্দাকে নষ্ট করে দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব সুদূর প্রসারী হতে পারে। শিশু বয়সে শব্দের অধিক তারতম্যের জন্য বৃদ্ধ বয়সে তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। দলগতভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে শব্দ দূষণের কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছে এবং দেখা গেছে- যে সমস্ত অঞ্চলে দূষণের মাত্রা বেশি সেখানে নিম্নলিখিত অসুবিধা বা ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের মধ্যে পড়েছে।
শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব :
এখনই শব্দের উচ্চ মাত্রা কমানো না গেলে এই নীরব ঘাতক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মক্ষম মানুষকেও ধীরে ধীরে বার্ধক্যে পরিণত করবে।
উজ্জ্বল হাসান
মতামত লিখুন :