ডেস্ক রিপোর্ট: তৈরী পোশাক খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে “বাংলাদেশ ইনোভেশন এওয়ার্ড ২০২২” অর্জন করল টিম গ্রুপ। বাংলাদেশ ইনোভেশন এওয়ার্ডের চতুর্থ সংস্করন গতকাল (০৬ মার্চ,২০২২) রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অথিতি হিসেবে অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ.রহমান। এছাড়াও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) মেয়র আতিকুল ইসলাম ও তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১৪ টি ক্যাটাগরিতে- বেস্ট ইনোভেশন ফাইন্যান্স, বেস্ট ইনোভেশন ফ্যাশন এন্ড এ্যাপারেল, বেস্ট ইনোভেশন হেলথ কেয়ার, বেস্ট ইনোভেশন রিটেইল, বেস্ট ইনোভেশন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট, বেস্ট ইনোভেশন এসজিডি ইনকল্যুশন, বেস্ট ইনোভেশন এগ্রিকালচারাল সেক্টর, বেস্ট প্রসেস ইনোভেশন, বেস্ট ইনোভেশন প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট, বেস্ট স্টার্ট আপ ইনোভেশন, বেস্ট ইনোভেশন এডুকেশন, বেস্ট ইনোভেশন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন ছাড়াও ১২ টি সাব ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ইনোভেশন এওয়ার্ড দেয়া হয় যার আয়োজনকারী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।
উদ্যোক্তা, স্টার্ট আপ কিংবা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের নতুন ধরনের উদ্ভাবনকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতি বছর বাংলাদেশ ইনোভেশন এওয়ার্ডের আয়োজন করা হয় ।
টিম গ্রুপের নিডেল নামক ফোরর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সলিউশন এই পুরস্কারটি জিতে।
আইওটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিম গ্রুপের আইটি ডিপার্টমেন্ট এই সফটওয়্যার তৈরী করেন যা টিম গ্রুপের জ্যাকেট ফ্যাক্টরি ফোর এ ইয়ার্ন ডায়িং ফ্যাক্টরিতে জুলাই ২০২০ থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে যা শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য হারে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ দক্ষ শ্রমিকদের কল্যানে অবদান রেখেছে।
টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হীল রকিব বলেন, “বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ডিজিটাইজেশন এর বিকল্প নেই। নিডেল মেশিন থেকে সঠিক ডাটার মাধ্যমে শ্রমিকদের স্কিল মেট্রিক্স বুঝতে সহায়তা করে যা ম্যানেজারদের সমস্যার মূল কারন সনাক্ত করে সংশোধন করতে সহায়তা করে যা টিমের সদ্ব্যবহার ও কর্ম প্রেরনা নিশ্চিত করে যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারি”।
তিনি আরও যোগ করেন “ বর্তমান বাজারের তুলনায় নিডেল আমাদের ১০%-১২% উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করছে”।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম বলেন, “এই এওয়ার্ড আমাদের নিজস্ব খাতগুলোর মাঝে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে চায় যা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে”।
তিনি আরও বলেন , “ বাংলাদেশ ইনোভেশন এওয়ার্ডে মনোনীতকারীদের কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া রয়েছে এবং এতে বিজনেস লিডার এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত ছিলেন। যুগান্তকারী উদ্বাবিত পণ্য, সেবা কিংবা প্রক্রিয়া উদ্ভাবন যা মৌলিকতা, বাজার প্রভাব, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব এবং বিরাজমান পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে এমন উদ্যোগগুলোকে আমরা পুরস্কৃত করেছি”।
মতামত লিখুন :