ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সবার ওপরে। শতকরা ৮০ ভাগের বেশি রপ্তানি আয় আসে এ খাত থেকে। তবে যারা এই পোশাক কেনেন, সেই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাহিদা নিয়ে হাজির হয়। ফলে পোশাক প্রস্তুতকারকদের নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই পোশাকের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর খবরদারি থেকে বাঁচতে এবার নিজেরাই একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্স নীতিমালা তৈরি করবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি সার্বজনীন বিধি তৈরি হবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
কাঁচামালের উৎস, কারখানায় উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত সব কিছু নজর রাখে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ে মানদণ্ড ঠিক রাখতে বিভিন্ন নির্দেশনাও দেয় তারা।
রপ্তানিকারকদের মতে এক এক সময়ে এক এক নির্দেশনা অনেকটা খবরদারির পর্যায়ে চলে যায়। এর অনেকগুলো আবার বাংলাদেশের আইনেরও সাংঘর্ষিক।
বিজিএমইএ বলছে, ভবন থেকে শুরু করে অগ্নিপ্রতিরোধ এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা এবং শ্রম ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে ক্রেতাদের নজরদারিকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখে মালিকরা।
বিজিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক হাসান জানান, ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো একেক সময় নতুন নতুন পয়েন্ট নিয়ে আসে। আমরা তাদের এসমস্ত বিষয়গুলোকে কভার করে দেশের আইনানুযায়ী সমন্বয় করে ফেলবো। সমন্বয় করা হলে সব বায়ারকে এটা মেনে এর ভেতরেই কাজ করতে হবে।
বিজিএমইএ কমপ্লায়েন্স সেল স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং এন্ট্রাষ্ট ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, বায়ার এবং ব্র্যান্ডরা তাদের ইচ্ছামত তাদের দেশে প্রচলিত স্ট্যান্ডার্ডের আদলে আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করতে চায়। বিশেষ করে অডিটের চেকলিষ্টে এমন কিছু জিনিসের চাহিদা থাকে যা আমাদের জন্য মাঝেমধ্যে গলার কাটা হয়ে যায়।
মতামত লিখুন :