Logo

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার দাবি

RMG Times
শনিবার, এপ্রিল ৪, ২০২০
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট: গার্মেন্টস শ্রমিকদের মার্চ মাসের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে শ্রমিকদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ছুটি দেয়ার আগেই শ্রমিকদের মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করা জরুরি ছিল। কিন্তু ৯০ শতাংশ গার্মেন্টস মালিক এই দুর্যোগের সময়ও শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করেই বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নির্দেশনায় ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

একদিকে অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতিতে দোকান-পাট বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি; অপরদিকে হাতে টাকা না থাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার পরও গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করতে বাধ্য হয়। হাতে কোনো অর্থ না থাকায় এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন, যা শ্রমিকদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গণপরিবহন চলাচল শুরুর ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আবার গার্মেন্টস কারখানা বন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বকেয়া মজুরি সঠিক সময়ে পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আবার গণপরিবহন চলাচল শুরুর আগেই কারখানা খোলা হলে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে পারবে না, যা বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির অভিযোগে শ্রমিক ছাঁটাই এবং শ্রমিকের পাওনা মজুরি পরিশোধ করতে অস্বীকার করার সুযোগ তৈরি করবে।

বিবৃতিতে নেতারা আরো বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে। যে সব শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য রয়েছে তাদের মার্চ মাসের বেতন উক্ত ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর, আর যাদের ব্যাংক হিসাব নেই কারখানায় সংরক্ষিত তথ্য থেকে উক্ত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট করিয়ে বেতন পরিশোধ করা হলে বর্তমানে শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি পরবর্তী মাসে সরকারি তহবিল থেকে মজুরি পরিশোধের তথ্য ভাণ্ডারও তৈরি হবে। নেতারা দুর্যোগময় বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক ছাঁটাই বা সঠিক সময়ে মজুরি পরিশোধ না করার যে কোনো চেষ্টা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে বলে সাবধানবাণী উচ্চারণ করেন।