Logo

‘পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স’

RMG Times
মঙ্গলবার, আগস্ট ১, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট :  নিরাপত্তার নামে আকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে করছে বলে অভিযোগ করেছে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী বছরের মে মাসের পর থেকে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সকে দেশে আর কাজ করতে অনুমতি না দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

‘নিরাপত্তার নামে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স কর্তৃক পোশাক কারখানা বন্ধ করে লাখো শ্রমিক বেকার করার প্রতিবাদে’ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার।

বাহারানে ‍সুলতান বলেন, “যদি নিরাপত্তার কারণে কোনো কারখানা বন্ধ করতে হয়, তবে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাকর্ড। কিন্তু তারা সেটা না করে ঠুনকো অজুহাতে একের পর এক কারখানা বন্ধ করে চলছে।”

এবছর ঢাকা ও আশপাশে ৬৪টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে রপ্তানিমুখী এই খাতের মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি, এটি কোনো সংস্কার উদ্যোগ নয়। একটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।”

সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর ইউরোপীয় ক্রেতাদের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত ‘অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’ এবং আমেরিকার ক্রেতাদের উদ্যোগে ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি ইনিশিয়েটিভ’ গঠন করা হয়।

সংক্ষেপে ‘অ্যাকর্ড’ নামে পরিচিত ইউরোপীয় এই চুক্তিতে সর্বশেষ ৮৪টি প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করেছে। আর ‘অ্যালায়েন্সের’ আওতায় উত্তর আমেরিকার বিশ্বখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট ও গ্যাপসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান জোটবদ্ধ হয়েছে।

এই দুই জোটের সঙ্গে করা সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে। তবে এর পরেও বাংলাদেশে পোশাক কারখানা নিয়ে কাজ করতে চায় তারা।

বিদেশি ক্রেতাদের এই দুটি জোটের ‘মনগড়া প্রতিবেদনে’র কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “তাই ২০১৮ সালের মে মাসের পর নতুন করে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সকে এদেশে কাজ করার অনুমতি না দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”

অ্যাকর্ড ও অ্যালয়েন্স তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সঠিকভাবে সংস্কার কাজ করেনি বলেও অভিযোগ করেন বাহার।

“গাজীপুরের মাল্টিফ্যাবসের কারখানায় অ্যাকর্ড এলায়েন্সের পরিদর্শনের পর ‘নিরাপদ’ সনদ লাভ করেছে। এর পরও সেখানে বয়লার বিস্ফোরণে ১৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সুতরাং এটি তাদের কর্মের অসারতা ও ব্যর্থতার প্রমাণ। তারা বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।”

ঢাকার বিভিন্ন কারখানার শতাধিক শ্রমিকের অংশগ্রহণের অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা, সহ সাধারণ সম্পাদক মায়া আক্তার ও কেন্দ্রীয় নেতা অন্তর রহমান উপস্থিত ছিলেন।