এ. বি. এম আরমান হোসেন (বাবু): আমার ইতোপূর্বে কয়েকটা তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। বর্তমানে একটি স্বনামধন্য এক্সেসরিজ গ্রুপ ফ্যাক্টরীতে আছি। এই ফ্যাক্টরীটি অ্যালায়েন্সের তালিকাভুক্ত হওয়া ছাড়াও অনেকগুলো ব্র্যান্ড কতৃক সার্টিফাইড। এখানে ৬৫০ এর অধিক শ্রমিক কাজ করে। আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে, একটা এক্সেসরি তৈরী করতে গার্মেন্টস এর থেকেও প্রসেস বেশী এবং শ্রমও দিতে হয় বেশী কিন্তু মূল্য তুলনামূলক কম। তার মধ্যে এক্সেসরিজ এর নির্দিষ্ট কোনো বেতন গেজেট না থাকার কারনে আমরা আরএমজি বেতন গেজেটকেই অনুসরণ করি এবং প্রতি বছর ইনক্রিমেন্টসহ সব কিছুতেই সেটাই অনুসরণ করি।
এখন কথা হলো বাংলাদেশের সকল এক্সেসরিজ ফ্যাক্টরীগুলো কি সরকার ঘোষিত ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত না? এখানেওতো শ্রমিক কাজ করে, তাদেরকেও বেতন-ভাতা দিতে হয়। আর এই এক্সেসরিজ ফ্যাক্টরীগুলো ছাড়া কি একটি গার্মেন্টস বডির পরিপূর্ণতা আসে? এক্সেসরিজ ছাড়া কি গার্মেন্টস এর পূর্নতা পায়? এই এক্সেসরিজ ফ্যাক্টরীগুলো কি দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে কোনো ভুমিকা রাখছেনা?
যদি সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই এক্সেসরিজের পক্ষে হয়, তাহলে ফ্যাক্টরীগুলো কেনো প্রণোদনার সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষ্যম্যের স্বীকার হবে?
সংস্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশ্ন, এই কারখানাগুলোকে কেনো অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে বা আলাদা করে দেখা হচ্ছে?
লেখক: ম্যানেজার( এইচআর, এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স)- ন্যাশনাল এক্সেসরিজ লিঃ ও মাল্টিপ্লাষ্ট এক্সেসরিজ লিঃ
মতামত লিখুন :