Logo

গাজীপুরে গরম আতঙ্কে অসুস্থ করনী নিট কম্পোজিটের দুই শতাধিক শ্রমিক, কারখানা বন্ধ ঘোষণা

RMG Times
শনিবার, মে ২৭, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

ফজলুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক : গরমের দাবদাহ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পরেও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় শনিবার সকালে একটি পোশাক কারখানায় দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। করনী নিট কম্পোজিট নামের পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কারখানাটি জরুরীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একই কারখানায় কয়েক শতাধিক শ্রমিকের অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটলে ঐদিনও কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দেয়া হয়। 

কারখানার খাবার পানি পান করে শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার ঘটছে বলে দাবী করেছে শ্রমিকরা। শ্রমিক সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবারের বিরতি শেষে ফের কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। এরপর প্রচণ্ড গরম অনুভব করেন তাঁরা। বেলা তিনটার দিকে কারখানার দ্বিতীয় তলার তৃষ্ণার্ত শ্রমিকেরা পানি পান করেন। এরপর কয়েকজন শ্রমিকের বমি হলে তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আরও ১৫-২০ জন শ্রমিক একইভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর কারখানার তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার শ্রমিকেরা একে একে অসুস্থ হতে থাকেন। এভাবে কারখানার দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে যথারীতি শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। কিন্তু পানি পার করার সাথে সাথে শ্রমিকরা অসুস্থ হতে শুরু করে। 

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানা গেছে, সকালে কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আশ্চর্য্যজনকভাবে কারখানার বাইরে শ্রমিকদের স্বজনরা ভীড় করতে থাকে। ভেতরে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে দাবী করে বাইরে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করে। এর মধ্যেই হঠাৎ করে প্রথমে করণী ফ্যাশনের একাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়। পরে করণী ফ্যাশনের শ্রমিকদের ছুটি দেয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই করণী কম্পোজিট কারখানায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ঐ কারখানাও ছুটি দেয়া হয। অসুস্থ শ্রমিকদের সফিপুর জেনারেল হাসপাতাল ও মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

পানি খাওয়ার ফলে শ্রমিক অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা জানান, পানিতে সমস্যা থাকার কথা নয়। আমরা নিজেরাও এই পানি খেয়েছি। কর্মকর্তাদের কেউই অসুস্থ হয়নি। তবুও পানিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কয়েকদিনের টানা গরম আর শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার ঘটনা শ্রমিকদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আতঙ্ক থেকেই এমনটা হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তারা।