নিজস্ব প্রতিনিধি : পোশাক কারখানা সংস্কার কাজে পর্যাপ্ত অগ্রগতি প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪২টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যালায়েন্স।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যালায়েন্স এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জিম মরিয়াটি এমন তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পোশাক খাতে একটি কালো অধ্যায়। ভয়াবহ ওই ট্র্যাজেডির ৪ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এমন কেউ নেই রানা প্লাজায় বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ ঘটনায় ১ হাজার ১০০ জন প্রাণ হারায়।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে যে বড় পরিবর্তন হচ্ছে তার অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে ওই দুর্ঘটনা। অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য- তাদের কোড অনুসৃত কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
৪ বছরে নিরাপত্তা অগ্রগতি তুলে ধরে জিম মরিয়াটি বলেন, ৭১টি অ্যালায়েন্স কারখানা পর্যাপ্ত সংশোধনী কর্মপরিকল্পনার কাজ সম্পন্ন করেছে। আশা করছি এ সংখ্যা আগামী কয়েক মাসে দ্বিগুণের বেশি হবে। অ্যালায়েন্স অধিভুক্ত সব কারখানায় প্রয়োজনীয় মেরামতের ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ মেরামত কাজ হলো উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মেরামত কাজ।
“সংস্কার কাজে পর্যাপ্ত অগ্রগতি প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় আজ পর্যন্ত আমরা ১৪২টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থগিত করেছি। যেসব কারখানা নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেবে না সে সমস্ত কারখানার সঙ্গে আমরা কোনো আপোষ করবো না।”
মরিয়াটি বলেন, নিরাপদ গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তুলতে আমাদের মিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো শ্রমিক প্রশিক্ষণ। ২০১৪ সালে দেশে এ প্রথম একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করেছি যেখানে জরুরি মুহূর্তে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয় সে বিষয়ে ১.৩ মিলিয়ন শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পুনরায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি- অ্যালায়েন্স কারখানার ৮৫ শতাংশ কর্মীদের এটা নিশ্চিত করতে যে নতুন যোগদানকারী প্রতিটি কর্মচারী যেন প্রশিক্ষণ লাভ করে। আমরা প্রায় ২৫ হাজার সিকিউরিটি গার্ডকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যাতে অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্পের সময় একটি কারখানার ভবন ত্যাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
মতামত লিখুন :