ডেস্ক রিপোর্ট : এই সমাজে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অপরের উপকার করেন। কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করেন মানবতার কল্যাণে। কেউ বলে পাগল, কেউ বলে মাথা নষ্ট! এমনি এক যুবক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালীর আলাউদ্দীন। পেশায় গার্মেন্টস কর্মী হয়েও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন বেতনের বড় অংশ।
গ্রামের ভাঙা রাস্তার অংশবিশেষ স্বশ্রমে নিজ খরচে মেরামত করেন আলাউদ্দীন। পিতার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে কাজের সন্ধানে চলে আসেন ঢাকায়। পড়ালেখা করেছেন ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। সে ঢাকার হামিম গ্রুপের একটি কারখানায় কাজ করে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টারিতে নিয়মিত ৮ ঘন্টার পাশাপাশি অতিরিক্ত ‘ওভার টাইমে’ তার মাসিক আয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আলাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন সবার আগে অফিসে যাই এবং সবার শেষে ফিরি। বেতনের টাকা পেয়ে আমি তিনটি ভাগে ভাগ করি। একটি নিজে খরচ করি, একটি সংসারে দেই এবং একটির বড় অংশ সমাজের জন্য ব্যয় করি। এর জন্য আমাকে পারিবারিক চাপ সহ্য করতে হয়। যেহেতু আমি নিজে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করি সেহেতু আমি একাজ চালিয়ে যেতে চাই। সুযোগ পেলে আরো বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে।
রাস্তাঘাট সংস্কার ছাড়াও এতিম, গরিব, প্রতিবন্ধী শিশু ও শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে বই, খাতা, কলম বিতরণ। অসহায় মানুষের চিকিত্সা সেবার ব্যবস্থা করা। বিনামূল্যে ঔষধ ও মাঠে কাজ করা। মানুষের মাঝে স্যালাইন পানি সরবরাহ করে আলাউদ্দিন। বিভিন্ন উত্সবে বাহারী ঢং-এ সেজে যেমন অপরকে আনন্দ দেয় তেমনি বিনোদনের অন্যান্য উদ্যোগও গ্রহণ করেন তিনি।
মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এজাজ উদ্দীন জানান, সমাজে আলাউদ্দীনের মতো মানুষের বড়ই অভাব। শত্রুও তার কাজের প্রশংসা করবে। সে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা চাইলে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।
মতামত লিখুন :