ফজলুল হক, নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। নদী ভাঙনে অনেকেই হারিয়েছে মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও। পানিবন্দি মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। বানভাসী অনেক এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষগুলোর কষ্টের যেনো সীমা নেই, জরুরী ত্রাণের জন্য চলছে তাদের আর্তনাদ। এমনই অসহায় দরিদ্র প্রায় পাঁচ শতাধিক বন্যার্তদের জন্য সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করে ত্রাণ ও চিকিৎস্যা দিয়ে পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পেশাজীবিদের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর অ্যাপারেল হিউম্যান রিসোর্স প্রফেশনালস’ (বিশার্প)।
গতকাল শুক্রবার (২৫ আগস্ট ২০১৭) জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সুখনগর এলাকার নাঙ্গলা চরের পাঁচ শতাধিক বন্যার্ত অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছে বিশার্পের স্বেচ্ছাসেবী টীম। ত্রাণ সহযোগিতার প্রতিটি প্যাকেটে ছিল শুকনা খাবার, পানি, মেডিসিন, কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও পানি জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বিশার্পের স্বেচ্ছাসেবী টীমে ছিল ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি চিকিৎসক টীম। এসময় তারা প্রায় দুই শতাধিক রোগীকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎস্যা, ঔষধ বিতরণ ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে।
বিশার্পের সাধারণ সম্পাদক মি. নূরে এ খান আরএমজি টাইমসকে বলেন, গণমাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তীব্র ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি আর সাধারণ মানুষদের কষ্ট দুর্দশা দেখে আমরা সকলেই যখন কষ্ট অনুভব করছি, ঠিক তখনি মহতী ও সুন্দর এই আয়োজনের ডাক ও অনুমতি দেন বিশার্পের সম্মানিত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন স্যার। স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা যথাসময়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, এজন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাই। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণবিতরণ কর্মসূচিতে সংগঠনের সকলের অংশগ্রহণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরিশ্রম করে কর্মসূচিটি সফল করেছেন আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরো বলেন, বিশার্প গতবছরও পদ্মপাড়ের নদী ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বিশার্প দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
মতামত লিখুন :