নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন ও ছাড়পত্র দিতে নতুন করে সময় বাড়ানোর একটি চুক্তি করেছে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট ‘অ্যাকর্ড’। ক্রেতারা যেসব কারখানা থেকে পোশাক নিয়ে থাকে সেসব কারখানা আরও তিন বছর পরিদর্শনের সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন চুক্তিতে।
গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক শ্রমিক অধিকার সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন ও ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়ন নতুন এই চুক্তির ঘোষণা দেয়।
দ্যা গ্লোব এন্ড মেইল এর খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে যাবে বলে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিদর্শন চালাতে নতুন করে সমঝোতা করল ‘অ্যাকর্ড’।
চুক্তিতে সই করা ক্রেতা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে কেমার্ট অস্ট্রেলিয়া, টার্গেট অস্ট্রেলিয়া, প্রাইমার্ক, এইচঅ্যান্ডএম, ইন্ডিটেক্স, সিঅ্যান্ডএ, ওটো, কিক, আলদি সাউথ, আলদি নর্থ, লিডল, টিসিবো, এলসি ওয়াইকিকি ও হেলি হানসেন।
ইন্ডাস্ট্রিঅল ও ইউএনআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে দ্যা গ্লোব এন্ড মেইলের খবরে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ব্র্যন্ডগুলো ছাড়া ইসপিরিট, হিউরেন, বেস্টসেলার, উইবরা, স্কিমড গ্রিুপ, এন ব্রাউন গ্রুপ, পিভিএইচ, স্পেশালিটি ফ্যাশন গ্রুপ অস্ট্রেলিয়াও নতুন চুক্তিতে সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তিতে নিরাপত্তার কারণে কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে অথবা স্থানান্তরের সময় শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করে তাদের সুরক্ষার বিষয়টিকে আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো শ্রমিকদের ইউনিয়ন করা এবং এতে যোগ দেওয়ার বিষয়ও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ, সাভারের রানা প্লাজা ধসে হাজারের বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর ২০১৩ সালের মে মাসে ইউরোপীয় ক্রেতারা বাংলাদেশের কারখানাগুলোর শ্রম পরিবেশ উন্নতে সহযোগিতা করতে ‘অ্যাকোর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’ চুক্তি করে। যা ‘অ্যাকর্ড’ নামে পরিচিতি পায়।
‘অ্যাকর্ড’র সঙ্গে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন ও ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে সরকারের সরকারের চুক্তি হয়। এখনও পর্যন্ত চুক্তির আওতায় এক হাজার ৮০০ এর বেশি কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক এবং ভবনের নিরাপত্তা পরিদর্শন করা হয়েছে।
মতামত লিখুন :