ফজলুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি যোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকারী না পেলে বাংলাদেশ ছাড়বে না পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠিত আমেরিকান ক্রেতাজোট প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমস মরিয়ার্টি।
তিনি বলেন, অ্যালায়েন্সের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিস্কার। আমরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ শিল্পে পরিণত করণে কাজ করছি। আমরা যে কাজ করেছি তা অব্যাহত রাখতে এবং আমাদের কাজ যেনো বৃথা না যায় তার নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘস্থায়ী ও যোগ্য উত্তরাধিকারী না করার পূর্বে আমরা চলে যাবো না। আমরা যে মহৎ কাজ করেছি, তা ২০১৯ সালে বিনাশ হয়ে যাক এটা দেখতে চাই না।
যোগ্য উত্তরসূরী বাছাই করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে বিবেচনায় দেখছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জেমস মরিয়ার্টি আরএমজি টাইমসে বলেন, অ্যালায়েন্সের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করা হচ্ছে। সরকারের প্রতিষ্ঠানও বিবেচনায় রয়েছে। তবে অ্যালায়েন্সের উত্তরাধিকারী হতে হলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই স্বাধীন হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ার্টি জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানাগুলোর ৬৮ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬০টি কারখানা তাদের সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনার অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। অন্যদিকে, এ যাবত ১২৮টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তৈরি পোশাক ক্রেতাদের এ জোটটি।
তিনি বলেন, সংস্কার হওয়া কারখানার মধ্যে রয়েছে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ এবং ’বেশি অগ্রাধিকার’ মেরামত কাজ। যেমন কলামের স্ট্রাকচারাল রেট্রোফিটিং এবং ফায়ারডোর স্থাপন।
২০১৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সকল অ্যালায়েন্স কারখানায় ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ এবং ’বেশি অগ্রাধিকার’ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যালায়েন্স এ পর্যন্ত ৯৪৭টি কারখানার ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন শ্রমিক ও ২৪০০০ জন সিকিউরিটি গার্ডকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া আনুমানিক ১ লাখ শ্রমিক প্রাথমিক অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণে পুনরায় প্রশিক্ষিত হয়েছে।
মতামত লিখুন :