ডেস্ক রিপোর্ট : সম্প্রতি আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সৃষ্ট শ্রম অসন্তোষ ও পরবর্তীতে কারখানা বন্ধের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে জানতে চান তিনি। এ সময় বিজিএমইএ’র নেতারা আশুলিয়ার তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ইইউ রাষ্ট্রদূত শ্রমিক ও মালিক- উভয়ের স্বার্থ রক্ষা এবং এ খাতে স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পর ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা বাতিল পরবর্তী করণীয় নিয়েও আলোচনা হয়। বিশেষত জিএসপি প্লাসের আওতায় বাংলাদেশ কীভাবে সেখানে রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধা পেতে পারে তাও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আশুলিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ব্যাখ্যা করেছি। শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করার পর একাধিক মন্ত্রীসহ তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কাজে ফেরার আশ্বাস দিলেও তা রক্ষা করেনি। টানা ৯ দিন কারখানা বন্ধ থাকার পর বাধ্য হয়ে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর কারখানা খোলার প্রথম দিনই উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। এর পরদিন উপস্থিতি ছিল প্রায় শতভাগ। এ বিষয়টি আমরা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য অ্যাপারেল সামিট এবং ইউরোপে জিএসপি প্লাস ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উপস্থিত ছিলেন।
মতামত লিখুন :