Logo

বিদেশীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নয় বরং বাংলাদেশে ব্যবসায় উৎসাহিত করছি: বার্নিকাট

Fazlul Haque
শুক্রবার, আগস্ট ১২, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : বিদেশী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আসতে ও ব্যবসা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট।

বৃহস্পতিবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এ কথা জানান।

 

13923316_1735077290073311_1730168410601007269_o

বার্নিকাট বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশিদার। এখনো আছি। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করব। বিদেশী ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার বিষয়ে অবগত করছি। তাদের বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত করছি। এখানে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে বলছি। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিশেষ করে এ বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যেসব পরিস্থিতি নাগরিকদের ভ্রমণে প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করার বিধান রয়েছে তাদের। তবে তার অর্থ ভ্রমণে নিষেধ করা নয়।

তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ভ্রমণ করতে চান না এবং প্রতিনিধিদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেন।

“এটা একটা স্বাভাবিক চর্চা।” “আমরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই- যারা এখানে ভ্রমণ করবেন তারা সবাই যেন বুঝতে পারেন যে, এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে এবং হুমকি রয়েছে যাতে তারা যা করেন সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকেন।”

তিনি আরো বলেন, একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচে বড় রফতানিকারক দেশ। গত অর্থবছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ সময় ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানি হয়েছে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন বিজিএমইএ’র পরিচালকরা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্লুম বার্নিকাট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, মোহাম্মদ নাছির, মাহমুদ হাসান, ফেরদৌস পারভেজ প্রমুখ।

বৈঠকে আলোচনা সম্পর্কে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ বিদেশি কূটনৈতিকদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন ইসু্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তারা বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়। ব্যবসা বাড়ানোর চষ্টো করবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া পোশাক কারখানা সংস্কারে একর্ড- এলায়েন্সের নেয়া পদক্ষেপে তারা সন্তুষ্ট। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একর্ডের ৬৩ শতাংশ এবং অ্যালায়েন্সের ৫৭ শতাংশ কারখানার সংস্কার কাজ শেষ। শ্রমিকদের তথ্যসম্বলিত ডাটাবেজের কাজ অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে তথ্য ইনপুট দেয়া হবে।