Logo

পোশাক খাতের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় শ্রমিক প্রতিনিধিরা

Fazlul Haque
বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৮, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : পোশাক শিল্পে সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ শিল্পের শ্রমিক প্রতিনিধিরা। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ২০টি গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠিত কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স।

2016_07_27_16_38_52_AiUwmpupmUysxlJ9XnKHmc5s9as8zn_original

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম রনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ও শোলকিয়াসহ জঙ্গিদের সব বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ইতিহাসে অনেকগুলো ভয়াবহ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা অতিক্রম করেছি। কিন্তু গুলশান ট্র্যাজেডি আমাদের সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত করেছে।

সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, রানা প্লাজার ভয়াবহ ক্ষত শুকানোর জন্য সরকার, মালিক ও শ্রমিক সংগঠন হাতে হাত রেখে দেশে-বিদেশে নানা কাজ করে যাচ্ছে। রানা প্লাজার ঘটনার ক্ষত কাটিয়ে দেশের পোশাক খাতকে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঠিক সে মুহূর্তে গুলশান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য অনেক নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে হাজির হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

রনি বলেন, গুলশান হামলায় নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত, যারা পোশাক ক্রয়-সংক্রান্ত কাজে বাংলাদেশ এসেছিলেন। তাদের জীবনহানি পুরো ক্রেতাগোষ্ঠীকে আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীন করে তুলতে পারে। আর এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের পোশাক শিল্প এবং এ শিল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক। আর পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রায় তিন কোটি মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত দাবির মধ্যে রয়েছে— সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের গুজব ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। জঙ্গিবাদ বিস্তারে অর্থ, অস্ত্র জোগানদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আস্থা ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয় কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো— আগস্টজুড়ে সারা দেশের গার্মেন্টস শিল্পাঞ্চলে জঙ্গিবাদবিরোধী প্রতিবাদী শ্রমিক সমাবেশ। এছাড়া আগামী ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী গার্মেন্টস শ্রমিক সমাবেশ।