ডেস্ক রিপোর্ট : গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি শ্রমিক নেতা মোশরেফা মিশু অভিযোগ করেছেন, ২২ রমজান পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা ও বোনাস পরিশোধে মালিকপক্ষ ও সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বাধছে। শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিকদের জুন মাসের পূর্ণ বেতন ও এক মাসের সমপরিমাণ বোনাস পরিশোধে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মালিক, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাই দায়ী থাকবে। তিনি এ রকম পরিস্থিতিতে মালিক ও সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।
গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ঢাকার ২৩/২ তোপখানা রোডের কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে ‘ঈদের আগে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রাপ্তির আশঙ্কা নিয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে মোশরেফা মিশু এ কথা বলেন।
মোশরেফা মিশু বলেন, মাত্র ৩০ ভাগ গার্মেন্ট শ্রমিকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি গার্মেন্ট শ্রমিকদের জুন মাসের বেতন বোনাস দিচ্ছে। বাকিরা বরং ঈদকে কেন্দ্র করে বেতন বঞ্চনা, শ্রমিক ছাঁটাই-নির্যাতন এবং ছুটির ফাঁকে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে মালিকেরা পালানোর পাঁয়তারা করছে।
মোশরেফা মিশু বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২১ রমজানের মধ্যে বোনাস দেয়ার কথা থাকলেও আজ ২২ রমজানেও মাত্র ২৯% কারখানায় বোনাস দেয়া হয়েছে। তাও আবার কারখানাভিত্তিক কোথাও মূল বেতনের ৩০%, কোথাও ৪০% কোথাও ৫০% বোনাস দেওয়া হয়েছে। এতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস পরিশোধের জন্য আবারো জোর দাবি জানান
অন্য নেতারা একই সাথে জুন মাসের পূর্ণ বেতন না দেয়ার জন্য গার্মেন্ট মালিকেরা যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তার নিন্দা করে জুন মাসের পূর্ণ বেতন দেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় সৃষ্ট যেকোনো পরিস্থিতির জন্য বিজিএমইএ-বিকেএমইএ ও সরকারকেই সব দায় বহন করতে হবে। এর দায় কোনো শ্রমিক বা শ্রমিক নেতাদের ওপর চাপানো যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের বর্তমান সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা মো: ইয়াসিন। উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির তাসলিমা আখতার লিমা, গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের জহিরুল ইসলাম, সমন্বিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের রফিকুল ইসলাম পথিক, গার্মেন্ট শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের শবনম হাফিজ, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের মাস্টার মোখলেছুর রহমান, গার্মেন্টস শ্রমিকসভার ডা: সামছুল আলম, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের তৌহিদুল ইসলাম, ওএসকে গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের প্রকাশ দত্ত প্রমুখ।
মতামত লিখুন :