Logo

উৎসে কর বাড়লে গার্মেন্টস বন্ধ হবে: বিজিএমইএ

Fazlul Haque
শুক্রবার, জুন ৩, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : পোশাকশিল্প খাতে উৎসে কর না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ‘বাজেটে শিল্পকে উৎসাহিত করতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও এর পরিপন্থি কিছু পরিকল্পনাও দেখা যাচ্ছে। সব ধরনের রফতানিতে উৎসে কর্তিত করের হার ০.৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় প্রত্যক্ষ কর ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি। এটা শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’

গত চার বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের দেয়া কারখানা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঁচ থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপনের পরদিন শুক্রবার বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি তিনি তুলে ধরেন।

সিদ্দিকুর রহমানের দাবি, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাক খাত যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, সে অবস্থা থেকে এখনও উত্তরণ ঘটেনি। তাই ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের মতো শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ হারে উৎস কর চালু রাখার দাবি জানান তিনি। আর তা সম্ভব না হলে গত বছরের মতো শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ রাখতে বলেন।

পোশাক খাতের ‘দুরবস্থার’ বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে পোশাক পণ্যের দরপতন অব্যাহত আছে। অপর দিকে প্রতিবছর উত্পাদন খরচ ৮/১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। আবার প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ডলারের বিপরিতে টাকার মান শক্তিশালী হতে থাকা লোকসানের আরেক কারণ হিসাবে দেখা দিয়েছে।’

গত চার বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের দেয়া কারখানা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঁচ থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে উৎস কর বৃদ্ধি পোশাক খাতকে আরও সঙ্কটে ফেলবে। বিভিন্ন কারণে সক্ষমতা হারিয়ে ইতোমধ্যে ৬১৮টি কারখানা বন্ধ হয়েছে, আরও ৩১৯টি বন্ধ হওয়ার পথে। এভাবে করের বোঝা বাড়লে কারখানা টিকে থাকতে পারবে না।’