Logo

পোষাক শিল্পের কারখানায় শ্রমিকদের কোন অভিযোগ নেই :বাণিজ্যমন্ত্রী

Fazlul Haque
মঙ্গলবার, মার্চ ২২, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

আরএমজি টাইমস ডেস্ক : দেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের অধিকার ও প্রাপ্ত বেতনে তারা খুশি বলে মন্তব্য করেছেন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, শ্রম আইন ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অথচ কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কোন অভিযোগ নেই। শ্রমিকরা কাজের পরিবেশ এবং প্রাপ্ত বেতনে সন্তুষ্ট। কারখানায় গিয়ে শ্রমিকদের জিজ্ঞেস করেছি। তারা বলেছে, মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতন পায়। কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করে শ্রমিকরা খুশি। গতকাল রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছিল। সে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে এ খাতে এখনো চ্যালেঞ্জ আছে।

‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা : বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স’ বাংলাদেশ (আইসিসি’বি)। আইসিসিবি’র সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবরা বক্তব্য রাখেন।

জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানে দেখেছি বেসরকারি খাতে ৭ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ১৩ শতাংশ ট্রেড ইউনিয়ন আছে। অথচ তারা বাংলাদেশের শতভাগ ট্রেড ইউনিয়ন চায়।

আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রসঙ্গও আসে। বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়নে কোন সমস্যা নেই। দেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছিল। তা মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাবার রোল মডেল। এ সময় দেশের অর্থনীতির চলমান বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে সকল ক্ষেত্রেই এবং কিছু ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তারা দেশের টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে চলমান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তা সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যান্য সমসার পাশাপাশি দুর্নীতিকে তারা বড় সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেন। বিনিয়োগ বাড়ানোসহ অর্থনীতির গতি বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বানও জানান তারা।

মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সকল দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে প্রতিবছর বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রয়োজন ৫ থকে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে ৫ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগ করতে হবে ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আর বৈশিক বিনিয়োগ ৭ ট্রিলিয়ন হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগ করতে হবে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আছে ৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। অর্থাত্ ৫ ট্রিলিয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ঘাটতি রয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার ও ৭ ট্রিলিয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ঘাটতি আছে ৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বিল্ড এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিপিডির নির্বাহি পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপি-বাংলাদেশ-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেকটর নিক বারেসফোর্ড প্রমুখ।