ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এই ট্রফি দেওয়া হয়।
রোববার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৭ উদ্বোধন এবং জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ট্রফি তুলে দেন।
নির্ধারিত ৩২টি পণ্য ও সেবা ক্যাটাগরির ১৯২টি আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি স্বর্ণ ট্রফি, রৌপ্য ২২টি এবং ১৫টি ব্রোঞ্জ ট্রফি লাভ করেছে।
এবারো পণ্য খাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি স্বর্ণ পদক পেয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড।
স্বর্ণ ট্রফি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাকে একেএম নিটওয়্যার লিমিটেড, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, সব ধরনের সুতায় কামাল ইয়ার্ন, টেক্সটাইল ফেব্রিক্স প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইলে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, টেরিটাওয়েল এ নোমান টেরিটাওয়েল মিলস, হিমায়িত খাদ্য এপেক্স ফুড্স, কাঁচা পাট পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ, পাটজাত দ্রব্য আকিজ জুট মিল্স, চামড়ায় এপেক্স ট্যানারি, চামড়াজাত পণ্যে পিকার্ড বাংলাদেশ, ফুটওয়ারে ফুটবেড ফুটওয়্যার, কৃষিজ পণ্য মনসুর জেনারেল ফিডিং, এগ্রোপ্রসেসিং পণ্যে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড, ফুল-ফলিয়েজ এ মের্সাস রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, হস্তশিল্পজাত পণ্যে কারুপণ্য রংপুর, প্লাস্টিক পণ্যে বেঙ্গল প্লাস্টিক, সিরামিক সামগ্রী ফার সিরামিক্স, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যে বিআরবি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ, অন্যান্য শিল্পজাত পণ্যে মেরিন সেইফটি সিস্টেম, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স, কম্পিউটার অ্যান্ড সফ্টওয়ারে সার্ভিস ইঞ্জিন, ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোষাক ইউনিভার্সেল জিন্স, ইপিজেড ভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবায় শাশা ডেনিমস্, প্যাকেজিং ও এক্সেসরিজে মনস্ট্রিমস, অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে গাজী এন্টারপ্রাইজ, অন্যান্য সেবা খাত মীর টেলিকম, নারী উদ্যোক্তা আর আর ট্রেড সিন্ডিকেট।
রোপ্য ট্রফি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে এ্পারেল গ্যালারি, স্কয়ার ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইল্স, এনভয় টেক্সটাইল্স, ইউনিলায়েন্স টেক্সটাইল্স, হোসেন ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিল্স, সীমার্ক (বিডি), জনতা জুট মিল্স, এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ, বে ফুটওয়্যার, এগ্রিকনসার্ন, সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, মের্সাস ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, বিডি ক্রিয়েশন, বেঙ্গল প্লাস্টিক্স, প্রতীক সিরামিকস, বিএসআরএম স্টিলস, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল্স, জিন্স ২০০০, মেসার্স ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং, ফার্ম ফ্রেশ এন্টারপ্রাইজ।
ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্টারফ্যাব শার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, ফকির নিটওয়্যার্স, মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল্স, নোমান উইভিং মিল্স, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, করিম জুট স্পিনার্স, আকিজ ফুটওয়্যার, হেরিটেজ এন্টারপ্রাইজ, প্রাণ ফুডস, মেসার্স হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, ডিউরেবল প্লাস্টিক্স, মুন্নু সিরামিক, এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড।
পরে প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মেলার কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মাফরূহা সুলতানা।
মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতামত লিখুন :