সিরিয়ায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে বিশ্বের প্রধান প্রভাবশালী দেশগুলো সম্মত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
জার্মানির মিউনিখে দীর্ঘ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে সম্মত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে আশা নেতাদের।
সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তা সত্যিকারের শান্তি আলোচনা ফের শুরুর ক্ষেত্রে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিউনিখে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, বিশ্বশক্তি এমন একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হয়েছে, যা সিরিয়ার জনগণের দৈনন্দিন জীবন বদলে দিতে পারে।
কেরি বলেন, ‘আজ মিউনিখে মানবিক উন্নয়ন ও বৈরিতার অবসান—উভয় দিকে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি বলে বিশ্বাস করি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশজুড়ে (সিরিয়া) বৈরিতায় অবসানে সম্মত হয়েছি।’
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এই যুদ্ধবিরতির আওতায় আসবে না বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে একটি টাস্ক ফোর্স কাজ করবে। ওই টাস্ক ফোর্সে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনাটি উচ্চাভিলাষী বলে স্বীকার করেছেন কেরি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতির প্রতি পক্ষগুলো সম্মান দেখায় কি না, সেটাই হবে সত্যিকারের পরীক্ষা।
জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপের মন্ত্রীরা সিরিয়ায় সহায়তার গতি ও ব্যাপকতা বাড়ানোর ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন।
সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা জাতিসংঘ ঘোষিত সংখ্যার দ্বিগুণ। এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪৫ শতাংশ সিরীয়। সিরিয়া যুদ্ধে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সিরিয়ান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (এসসিপিআর) ’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
মতামত লিখুন :