Logo

উচ্চশিক্ষায় সহায়তা পাবেন গার্মেন্টস শ্রমিকের সন্তানরা

Fazlul Haque
শনিবার, এপ্রিল ৯, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কোনো গার্মেন্টস শ্রমিকের সন্তান যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা ডাক্তারি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েন, তবে তাকে তিন লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হবে। আর এ অর্থের জোগান দেওয়া হবে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে।

DSC_0412
ছবি : ফজলুল হক। (ফাইল ফটো)

শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শ্রমিক জোটের ১৮তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে এ চেষ্টা করছে। যার অংশ হিসেবে নানামুখী উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।

মুজিবুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী দুই কোটি টাকা মূলধনের উপরের কোনো কারখানার লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে ওই পাঁচ শতাংশের ৮০ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের সরাসরি দিতে হবে। ১০ শতাংশ দিতে হবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে। আইনটির পুরোপুরি বাস্তবায়নে যায়নি আমরা এখনো। শুধু মালিকদের একটি চিঠি দিয়ে বলেছি, আইনে এটা বলা আছে, আপনারা ফান্ডে টাকা দিন। আর তাতেই ১২৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে।

তিনি বলেন, কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে মৃত্যুবরণ করলে এ ফান্ড থেকেই মন্ত্রণালয় তাকে এক লাখ টাকা দেবে। পঙ্গু বা অসামর্থ্য হলেও এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর কোনো শ্রমিকের সন্তান পাবলিক বিশ্ববিদালয় অথবা ডাক্তারি কিংবা ইঞ্জিনয়ারিংয়ে পড়লে তাকে তিন লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার শ্রমিকদের চিকিৎসা ও আবাসনের ব্যবস্থাও করছে। এক্ষেত্রে মালিকদের যেমন শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে, তেমনি শ্রমিকদেরও মালিকদের সহায়তা করতে হবে।

মো. মুজিবুল হক বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমে মনে হয়েছিল, এটা আবার কেমন দায়িত্ব পেলাম! আইনের ছাত্র বলেই পরে মনে হলো, না, অনেক কিছু করার আছে। যদি দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকে, তবে এ মন্ত্রণালয়ে থেকেই সম্ভব।

তিনি বলেন, কখনো কোনো অনিয়ম করিনি আমি। শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তো নয়ই। কেউ যদি অভিযোগ তুলতে পারেন, তাহলে পদত্যাগ করবো। আমার ঢাকায় কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। অথচ চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। তবে এবার পূর্বাচলে একটা প্লট পেয়েছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. বিনায়ক সেন বলেন, শ্রম অধিকার নিশ্চিত হলে মানবাধিকারও নিশ্চিত হয়। আজকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে ভূমিকা রেখেছে ষাটের দশকের শ্রমিক আন্দোলন। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই আবারও অধিকার নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিলস্ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সভা শেষে একটি র‌্যালি বের করা হয়।