নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশে পোশাক কারখানার অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট ‘অ্যাকর্ড’-এর কার্যক্রম আগামী ৩১ মে’র পর থেকে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাইকোর্ট।
অ্যাকর্ডের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় গত ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে অ্যাকর্ডের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে স্মার্ট গ্রুপ। গত ৪ এপ্রিল তারই শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবি এম ইউসুফ আলী বলেন, ২০১৭ সালের ১২ই অক্টোবর এ্যাকর্ড ও সরকারের সাথে সমন্বয় সাধন করে সুবিন্যস্ত ও সুপর্যবেক্ষিত কার্য্যব্যবস্থা আনয়নে ব্যর্থ হওয়ার কারণ দর্শানোর জন্য শ্রম ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবদের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সরকার, মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব কেন বাতিল হবে না সে বিষয়ে রুল জারি করে আদালত।
তিনি বলেন, গত ২৬ অক্টোবর ২০১৭ সালে অ্যাকর্ড তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে প্রকাশ করে, সরকার তাদের তিন বছর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। কিন্তু গত ৪ এপ্রিল ২০১৮’র শুনানিতে বলা হয়েছে সরকার অ্যাকর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল কাজী জিনাত হক ও অ্যাকর্ডের আইনজীবি কেএস সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে প্রায় ১২শ’ শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষার উদ্যোগ নিতে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রায় তিনশ’ ব্র্যান্ড। এসব ব্র্যান্ডের কাছে পোশাক রফতানিকারক প্রায় ২২শ’ কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে সংস্কার কার্যক্রম দেখভাল করছে উভয় জোট। এ বছরের ৩০ মে এসব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা।
মতামত লিখুন :