নিজস্ব প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: পোশাক শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যা মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন টাঙ্গাইলের স্পেশাল জজ আদালত। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলে আদালতের বিচারক ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার মামলার রায় ঘোষণা করেন। ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আমিনুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
দণ্ডিত মোস্তাফিজুর রহমান (২৩) মাগুরা জেলার কাদিরপাড়া(পূর্বপাড়া) এলাকার সমসের কারিগরের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুলতান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
নিহত আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) সংগঠক ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ছিলেন।
২০১২ সালের ৪ এপ্রিল আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। একদিন পর টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানা পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে। পরদিন পত্রিকায় ছাপা হওয়া লাশের ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা আমিনুলকে সনাক্ত করেন। তার আগেই ঘাটাইল থানা পুলিশ কোনো দাবিদার না পেয়ে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশটি দাফন করে।
পরে ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে লাশটি তুলে কালিয়াকৈর থানার হিজলহাটির মৃধাপাড়া এলাকার বাড়িতে বাবার কবরের পাশে পুনরায় তাকে দাফন করা হয়। অপহরণের দুদিন পর টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় পুলিশ আমিনুল ইসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আমিনুলের ভাই রফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান ও বোরকা পরা অজ্ঞাতনামা এক নারীকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় আরেকটি এজাহার দেন।
এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক দাতা ও বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাকের বিভিন্ন ব্রান্ডের সোর্স আমিনুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানায় ।
মতামত লিখুন :