ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ড ২.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে সম্মত হয়েছে। ওই ব্র্যান্ডটির জন্য পোশাক তৈরি করে এমন ১৫০টি গার্মেন্টস কারখানায় আগুন ও ভবনের নিরাপত্তার জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে বলে সোমবার জানানো হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন এবং ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে হেগের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা চলার পর আন্তর্জাতিক ওই পোশাক ব্র্যান্ড অর্থ পরিশোধে সম্মত হয়।
তবে সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ওই ব্র্যান্ডের নাম প্রকাশ করেনি।
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মধ্যে তখন একটি আইনি বাধ্যবাধকতার চুক্তি হয় যা ‘বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি’ নামে পরিচিত।
অ্যাকর্ডের আওতাতেই শ্রমিক ইউনিয়নগুলো ২০১৬ সালে হেগের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ওই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, আন্তর্জাতিক ওই কোম্পানি বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে পোশাক কেনে, কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মত অর্থ তারা সেসব গার্মেন্টকে দেয়নি।
কারখানাগুলোতে ফায়ার অ্যালার্ম বা পানি ছিটানোর ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা ধরনের নিরপত্তা ত্রুটির তালিকা হেগের আদালতে তুলে ধরে ইউনিয়নগুলো। দুই বছর মামলা চলার পর সমঝোতায় আসতে সম্মত হয় ওই আন্তর্জাতিক কোম্পানি।
ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের ক্রিস্টি হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, এই সমঝোতার ফলে ওই দেড়শ কারখানায় প্রয়োজনীয় মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তহবিল যোগানো সম্ভব হবে।
শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধা ও জীবনমানের উন্নয়নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন ও ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়ন যে তহবিল করেছে, সেখানেও তিন লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক ওই কোম্পানি।
মতামত লিখুন :