ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শ্রমিকদের বেসিক ১০ হাজার টাকাসহ ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ১২টি সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গার্মেন্ট শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া তারা বলেন, বাধ্যতামূলক অংশীদারীত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে। ভেরিয়েবল ডিএ চালু করতে হবে। সোয়েটার ও পিস রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ঢাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বিদেশে তৈরি পোষাক শিল্পের সুনাম বৃদ্ধি করতে হলে শ্রমিকদের জীবনমান মজুরি দিতে হবে। আর খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকার জন্য এ মজুরি না পেলে তারা নিজেরা বেশি উৎপাদন করতে পারবে না, এতে তৈরি পোশাক শিল্পই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এসব দাবি তারা আগামী ২৩ জানুয়ারি বিজিএমইএর কার্যালয়ে তারা স্মারকলিপি প্রদানেরও কর্মসূচি দিয়েছে। এ ছাড়া ২৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে স্মারকলিপির কর্মসূচি দিয়েছেন তারা। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরে আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস গার্মেন্ট খাত। অন্যান্য সেক্টরের মতো এই সেক্টরের শ্রমিকেরা আজও দেশী-বিদেশী পুঁজির নির্মম শোষণের শিকার। শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অর্ধাহারে ও পুষ্টিহীনতায় জীবন কাটায়। গত তিন বছরে বাড়িভাড়া, যাতায়াত ভাড়া, দফায়-দফায় বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চললেও বাড়েনি শ্রমিকের মজুরি ।
তাছাড়া ২০১৩ সালে ন্যুনতম মজুরী ঘোষনার সময় প্রতি বছর ৫% ইনক্রিমেন্ট এর ঘোষনা করা হয়েছিল। পে-কমিশন, ওয়েজ কমিশনসহ বিভিন্ন শিল্প সেক্টরে ১০% ইনক্রিমেন্ট এর উদাহরণ দৃষ্টান্তমূলক। সেই হিসাবে গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে ১০% ইনক্রিমেন্ট ঘোষনা দাবী অত্যান্ত যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত বলে তারা উল্লেখ করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জোটের অন্যতম সদস্য গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, গার্মেন্ট শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, ওএসকে গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো: ইয়াসিন, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি এ এ এম ফয়েজ হোসেন, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার মোখলেসুর রহমান, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মোর্শেদ, গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ডা: শামসুল আলম, টেক্সটাইল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
মতামত লিখুন :