নিজস্ব প্রতিনিধি : গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র উদ্যোগে অবিলম্বে শ্রমিকদের নিম্নতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ও মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা এবং সোয়েটারের পিসরেটসহ সকল গ্রেডে শ্রমিকের একই হারে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নিম্নতম মজুরি বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
৮ জানুয়ারি সোমবার সকালে গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে এবং কোষাধক্ষ্য এমএ শাহীনের পরিচালনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার, সাদেকুর রহমান শামীম, জয়নাল আবেদীন, মো. জুয়েল প্রমূখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল তোপখানা রোডে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশী বাধা ভেঙ্গে নেতাকর্মীরা বোর্ড কার্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে অবস্থান গ্রহণ করে।
সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র কার্যকরি সভাপতি শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমীন বলেন, মজুরির বৃদ্ধির আন্দোলনে নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তারা। আমাদের কোন নেতাকর্মী আক্রান্ত হলে তার জন্য হুমকি দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, সংগঠনের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির কার্যালয় শিল্প পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। নিয়মতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমের ওপর এমন ফ্যাসিবাদী আক্রমনের ফলাফল ভয়াবহ হবে এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি অবিলম্বে সকল বাধা, দমন, পীড়ন বন্ধ করার জন্য সরকার ও মালিক পক্ষের কাছে দাবি জানান। তিনি অবিলম্বে মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম শুরু করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিম্নতম মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণা করার জন্য দাবি জানান।
সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, শ্রমিকপক্ষ দুই বছরের বেশী সময় ধরে মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে আসছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৬ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলন নির্মম ফ্যাসিবাদী পন্থায় দমন করা হয়েছে। ১৫২০ জন শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছিল, ৯ টি মামলায় ২ হাজার শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাকে আসামি করা হয়েছিল, সেই মামলা গুলোর মধ্যে কয়েকটি মামলা ছিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা। ৫০ জনের বেশী শ্রমিক, শ্রমিকনেতা, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী এমনকি সাংবাদিককে কারাবন্দী করা হয়েছিল।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সামনে ঘেরাও অবস্থান থেকে পরবর্তিতে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দাবিনামা হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, কাজী রুহুল আমিন, জলি তালুকদার, সাদেকুর রহমান শামীম, জিয়াউল কবির খোকন, ইকবাল হোসেন, কে এম মিন্টু।
মতামত লিখুন :