ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ২৪ নভেম্বর। আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টস আগুন লাগার পাঁচ বছর পূর্তি। দেশের পোশাকশিল্পের জন্য একটি কালো দিন। ২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর এলাকার তাজরীন পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো তিন শতাধিক। দেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত শ্রমিক অগি্নদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
নিহতদের পরিবার ভোগ করছে স্বজন হারানোর বেদনা। পঙ্গু সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে তাদের পরিবার। ঘটনার পাঁচ বছর পার হলেও এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকের। অনেকেই শুধুই চিকিৎসার খরচ পেয়েছেন। কেউ আবার পেয়েছেন নামমাত্র ক্ষতিপূরণ।
এদিকে তাজরীন ট্রাজেডির পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহতসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাজরীন গার্মেন্টস কারখানার প্রধান ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাজরীন গার্মেন্টসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
এ সময় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে সব ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিককে অবিলম্বে ক্ষতি পূরণ ও মালিক দেলোয়ার হোসেনের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। এদিকে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাজরীন গার্মেন্টস এর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জন নিহত ও দুই শতাধিক শ্রমিক আহত হন।
পরদিন আশুলিয়া থানার এসআই খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর দ-বিধির ৩০৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক একেএম মহসিনুজ্জামান খান আদালতে চার্জশিট দেন। এতে তাজরীন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতাসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মতামত লিখুন :