Logo

৮৫ শতাংশ মেরামত কাজ সম্পন্ন, দায়িত্ব হস্তান্তরে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান চায় অ্যালায়েন্স

RMG Times
বুধবার, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শনে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায় উত্তর আমেরিকার ক্রেতাজোট প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স। বুধবার রাজধানী গুলশানস্থ ‘লংবিচ স্যুটস’ নামের একটি হোটেলে  ২০১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জোটের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেমস এফ মরিয়ার্টি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিধি উন্নয়নে কর্মরত উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি’। আমরা নির্দিষ্ট সময় পর একটি স্বাধীন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর হাতে আমাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই। যেখানে বাংলাদেশ সরকার, আইএনও, বিজিএমইএ এবং অন্যান্য অংশীদাররা থাকবে। যাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে আমরা চলে যাওয়ার পর তারা যেন কারখানা নিরাপত্তা মনিটর করতে পারে। এর জন্য আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

মরিয়ার্টি বলেন, অ্যালায়েন্স, কারখানা মালিক ও আমাদের পার্টনাররা সম্মিলিতভাবে যে সাফল্য অর্জন করেছে তাতে আমরা গর্বিত। সব সময় আমাদের পরিকল্পনা ছিল ২০১৮ সালের পর আমাদের কাজের দায়িত্ব স্থানীয় কাউকে হস্তান্তর করা হবে।

অ্যালায়েন্স অধিভুক্ত ২৩৪টি করখানা সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনায় মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে জানিয়ে জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমাদের মেরামত কাজের ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যার ভেতরে ৮০ শতাংশ উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মেরামত কাজ (যেমন ফায়ার ডোর স্থাপন এবং কলাপসিপল গেট সরিয়ে ফেলা) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকি কাজগুলো ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যালায়েন্সের সদস্য পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭৮৫টি। তার মধ্যে সচল আছে ৬৫৮টি। তাদের মধ্যে ২৩৪টি কারখানা অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামোগত সব ধরনের ত্রুটি সংশোধন কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী শেষ করেছে। তবে সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় ১৬২টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যালায়েন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ স্কট লারসেল, ডেপুটি ডিরেক্টর পল রিগবি, ডিরেক্টর অব অপারেশনস কামরুন্নেসা বাবলি।

উলে­খ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ বছরের জন্য অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। উভয় জোটের অধীনে দুই হাজারের বেশি কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামোগত পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে।