Logo

অ্যাকর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে রুল

RMG Times
শনিবার, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : একতরফাভাবে অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ ৩ বছরবৃদ্ধির প্রস্তাব এবং প্রক্রিয়া কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ একটি রিটের শুনানিকালে এ রুল দেন।

স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান তার প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাকর্ডের টার্মিনেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।

রুলের জবাব দেয়ার জন্য অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী। তাকে সহযোগিতা করেছেন অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল হোসেন, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ বিশ্বাস এবং অ্যাডভোকেট রুমানা আলম।

অ্যাকর্ডের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কেএস সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

রিটে অভিযোগ করা হয়, অ্যালায়েন্স স্মার্ট গ্রুপের তিনটি কারখানাকেই নিরাপদ কারখানা হিসেবে চিহ্নিত করে সনদ দিয়েছে। তাই অ্যাকর্ডের টার্মিনেশন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

এতে আরও বলা হয়, অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকা এবং তাদের ওপর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকার কারণে স্মার্ট গ্রুপের মতো দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে নিপতিত হয়েছে।

এসব বিষয়ে ১০ অক্টোবরে শুনানিকালে সরকার পক্ষের কৌঁসুলিকে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের কাজের সমন্বয় এবং তাদের কাজের তদারকির বিষয়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের ব্যাপারে আদালতকে বিস্তারিত জানানোর জন্য ১২ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন।

উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর একই বছরের ১৫ মে পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ মূল্যায়নে গঠিত হয় ইউরোপভিত্তিক আন্তর্জাতিক জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। এর মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।

তবে সরকার ও পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএকে পাশ কাটিয়ে অ্যাকর্ড সম্প্রতি দ্বিতীয় মেয়াদে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩ বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

চলতি বছরের আগষ্টে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকর্ড জানায়, বাংলাদেশে পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও তদারকি ২০২১ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অ্যাকর্ড এসিদ্ধান্ত অনুমোদন করিয়ে নিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে।