Logo

আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ, পাঁচশ টাকায় দফারফা

RMG Times
রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার এক শ্রমিককে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে চার বখাটে। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় চার বখাটেকে আটক করে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় হোসেন মেম্বার ও জুলফিকার মাদবর ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে চার বখাটেকে ছেড়ে দেয়।

গত শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার দোসাইদ ঈদগাহ মাঠ এলাকার পাশে র‌্যাংস গ্রুপের পরিত্যাক্ত গোডাউনে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক বিচার চেয়ে বিষয়টি আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরকে জানায়। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টির কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে ধর্ষিতার হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে ঝামেলায় যেতে নিষেধ করেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার দোসাইদ ঈদগাহ মাঠ এলাকার হযরত আলী ভূইয়ার ছেলে ইস্রাফিল ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বেড়ানোর কথা বলে তাদের পূর্ব পরিচিত পোাশাক কারখানার ওই শ্রমিক ডেকে নিয়ে দোসাইদ এলঅকায় নিয়ে যায় । পরে তারা র‌্যাংস গ্রুপের পরিত্যাক্ত গোডাউনে নিয়ে গিয়ে সেখানকার নিরাপত্তা কর্মী জাহাঙ্গীর ও পলাশের সহযোগীতায় ওই শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীরা তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দেয়।

নিরাপত্তা কর্মী পলাশের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, শরিফুল ও ইশ্রাফিল একটি মেয়েকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এখানে আসে। আমরা গোডাউন বন্ধ করতে চাইলে আমাদেরকে মারধরের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে বেড় করে দেয়। এরপর আমরা চলে গেলে ওরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পারি।

এব্যাপারে আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর বলেন, ওই গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণের বিষয়ে আমার কাছে আসলে আমি তার কাছে ঘটনাটি শুনি। এরপর আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশও আমার কার্যালয়ে আসে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়ের পরিবারের লোকজন মামলা করবেনা বলে জানালে আমি মেয়েটির হাতে পাঁচশ টাকা দিয়ে বিদায় করে দেই।

কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ধর্ষনকারীরা চেয়ারম্যানের লোক হওয়ায় তিনি  বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন ।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।