নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (
ইংরেজিতে লেখা একটি ফেসবুক স্ট্যটাসে তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিদিন আমার ঘুম ভাঙে আমার স্বামীকে নিয়ে গুজব শুনে। এটা খুবই দুঃখজনক যে মানুষ আমাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ না করেই ব্রেকিং নিউজ ছড়াচ্ছে। আমি আশা করছি, আনিস একটু একটু করে সেরে উঠবে। এখন পর্যন্ত তাকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়নি এবং উনি নিজে নিজে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। ডাক্তারদের সাথে তার দৃষ্টি বিনিময় হচ্ছে। উনাকে কিছু বলা হলে উনি চোখ দিয়ে সাড়া দিতে পারছেন। অর্থবোধক কিছু করার জন্য এখনও উনার দুই সপ্তাহ সময় দরকার। তবে আমাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে না।’
রুবানা হক লিখেন, ‘ডাক্তাররা আমাকে কিছুক্ষণ আগেই বলল যে তারা আনিসুল হকের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং আগামী সপ্তাহে আরও সুস্থ হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন।’
এদিকে শনিবার ফেসবুকে নাগরিক টেলিভিশনের পক্ষ থেকে মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হকের বরাদ দিয়েও একই ধরনের তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেসবুকে নাগরিক টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আরও বলেছেন, মেয়র আনিসুল হক মারা গেছেন বলে কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছেন। এসব গুজবে কান না দিয়ে মেয়রের পরিবারের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত তথ্যের ওপর আস্থা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রথমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কে বা কারা ভুয়া আইডি থেকে মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে।
এরপর সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মেয়র আনিসুল হকের সঙ্গে নিজের তোলা বা আনিসুল হকের বিভিন্ন সময়ের ছবি দিয়ে মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে তার জন্য দোয়া কামনা করেন।
প্রসঙ্গত,কিছুদিন ধরে মেয়র আনিসুল হক সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রদাহ) আক্রান্ত। জুলাই মাসের শেষের দিকে ব্যক্তিগত কাজে লন্ডনে গেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গত ১৩ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। এরপর থেকে তাকে আইসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মতামত লিখুন :