Logo

পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করার দরকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

RMG Times
সোমবার, মে ১, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তার ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার রাজনীতি আপনাদের জন্যই। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য।’

মহান মে দিবসে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, এই অবস্থায় বেতন ভাতা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করতে হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শ্রমিকদের বেতন যে হারে বাড়িয়েছে, সেই হারে বিশ্বের অন্য কোনো দেশের সরকার শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে এসে দেখলাম শ্রমিকরা মাত্র ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা নিম্নতম মজুরি পেত। তখনই আমরা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নেই। পরে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। কাজে ঢুকলেই তাদের বেতন প্রথমে ৩ হাজার, পরে ৫ হাজার ৩’শ টাকায় আনা হয়েছে।

শ্রমিকদের স্বার্থের কথা বলে বিভিন্ন সংগঠনের নেতিবাচক তৎপরতার বিষয়েও শ্রমিকদেরকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, শ্রমিক নেতা নামধারী কিছু ব্যক্তি যে আসলে কী করতে চায় সেটাই তিনি বুঝতে পারেন না।

শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্তত এটুকু বলতে পারি যে, আমার রাজনীতি এদেশে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে। জনগণের উন্নয়নের জন্যই এখানে আমাদের থেকে কারও দরদ বেশি হতে পারে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা এইটুকু বিশ্বাস রাখবেন, আপনারা শ্রম দেন, আপনারা দেশের উন্নয়নের অংশীদার, এই দেশের অর্থনীতির যতটা উন্নতি হবে, বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করা লাগবে না। আপনাদের উপযুক্ত মজুরি যেন পান, সে জন্য ব্যবস্থা করবো এবং আমরা করে যাচ্ছি।’

২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন গার্মেন্টসের ন্যূনতম বেতন বাড়ালাম, কমিটি করা হয়েছিল। কমিটি যেটাতে রাজি হয়েছিল,আমি রাজি হই নাই। আমি আমার মত করে গার্মেন্টস মালিকদেরকে বাধ্য করেছিলাম ৫৩০০ টাকা দিতে। তখন তো বার্গেনিং এজেন্ট আমি হয়েছিলাম, এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’