নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজধানীর রামপুরায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে টিয়ার গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রমিক ও রামপুরার থানার ওসিসহ ২০ জন আহত হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
‘লিরিক গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ও বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ৪০০-৫০০ শ্রমিক রামপুরা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকে। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শ্রমিকদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা রাস্তা অবরোধ করে এবং পুলিশের সঙ্গে বাকবিত-ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ শুরু করে। শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা এ অবস্থা চলে। পরে শ্রমিকরা সরে যায়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাবি করেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের মারধর করেছে। এতে তাদের অনেক সহকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, শ্রমিক রহিমা, শিউলি, নার্গিস, ঝর্ণা, রাসেল, শাহিদা এবং রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার বিশ্বাস, কনস্টেবল সাথি ও রেজাউলসহ আরও কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত হওয়ার আগে ওসি প্রলয় কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষের ভোগান্তি দূর করতে সড়কটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। এ কথা শুনে লাঠিসোঁটা নিয়ে শ্রমিকরা হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আমরা লাঠিচার্জ করি। এ সময় শ্রমিকদের হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের সামনে অবরোধকারী শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ায় বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ সড়কে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মতামত লিখুন :