নিজস্ব প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় একটি রপ্তানীমুখী পোশাক কারখানা গ্রিণ লাইফ ক্লথিং লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তিন শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদ করায় ৪৩ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের চাকরীতে পূণবর্হালের দাবীতে কর্মবিরতী পালন করছে শ্রমিকরা।
শ্রমিক মারধর ও ছাঁটাইয়ের ঘটনায় টানা কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ করছে সাধারণ শ্রমিকরা। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না করায় আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধ দিবস কর্মবিরতী পালন করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, ২ মার্চ কাটিং ম্যানেজার বাহার উদ্দিন বিনা কারণে কাটিং সেকশনে এসে শ্রমিকদের গালিগালাজ ও তিন শ্রমিককে চরথাপ্পড় দিয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টো মারামারির অভিযোগ এনে ৪৩ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে তাদের নামের তালিকা কারখানার প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কারখানার অন্যান্য শ্রমিকরা গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসলেও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় মঙ্গলবার তারা কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতী পালন করে।
কর্মবিরতী পালনকারী শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাঁটাই না করে কর্তৃপক্ষ কারখানাটির ট্রেড ইউনিয়নের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ৪৩জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে। আমরা সাধারণ শ্রমিকরা ছাটাইকৃত শ্রমিকদের অবিলম্বে চাকরীতে পূণবর্হাল ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবী করছি।
কারখানাটির মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিন আগে বাহারউদ্দিন নামে কারখানার কাটিং সেকশনের এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করে শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের কোনো লোকজন মারামারি করে নি। বিষয়টি তদন্ত করে জানা যায় কয়েকজনের ইন্ধনে তাকে পেটানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় প্রাথমিকভাবে ৪৩ জন শ্রমিককে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতী পালন করলেও পরে তারা কাজে যোগদান করেছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক কাউসার সিকদার জানান, কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া বিষয়টি উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
মতামত লিখুন :