Logo

এইচআরডাব্লিউকে চ্যালেঞ্জ জানালো বিজিএমইএ

RMG Times
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের হয়রানিমূলক মামলায় আটক এবং তাদের বাক-স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ তুলে দেয়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাব্লিউ) বিবৃতিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, এইচআরডাব্লিউ প্রকৃত অবস্থা না জেনে, অন্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলছে।

তিনি তাদের বাংলাদেশের পোশাক কারখানা সরেজমিন পরিদর্শনেরও আহ্বান জানান৷

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা এইচআরডাব্লিউ গত ডিসেম্বরে আশুলিয়ায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন এবং তা বন্ধে সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বেতন ইস্যুতে ধর্মঘটের পর থেকে হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে পোশাক শ্রমিকদের। এসব গার্মেন্টসকর্মী ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের চেয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতেই অধিক আগ্রহী পুলিশ৷ আশুলিয়ার ধর্মঘট এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন।’’

তাদের কাছে এ পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেছে এইচআরডাব্লিউ৷ তবে সংবাদমাধ্যম বলছএ, মোট ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে, আরো ১৫৯ জনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, আটকদের মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন এবং সাংবাদিক নাজমুল হুদাসহ অন্তত দু’জনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আশুলিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১০টি মামলা করে পুলিশ৷ এসব মামলায় যাদের আটক করা হয়েছে, তারা ছাড়াও ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনেও মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার এবং গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ উভয়েই গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন পর্যালোচনার দাবি প্রত্যাখ্যান করে। কিছুদিনের জন্য আশুলিয়ার প্রায় ৬০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখে বিজিএমইএ। ফলে সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েন হাজার হাজার গার্মেন্টসকর্মী।এক পর্যায়ে ওই ধর্মঘটের অবসান ঘটে।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এইচআরডাব্লিউর ওই প্রতিবেদন মিথ্যা। তাদের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নেই। তারা শুনে বা অন্য কারোর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করছি এবং আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন বাংলাদেশে এসে সরেজমিন পোশাক কারখানা এবং শ্রমিক অধিকারের বিষয়গুলো দেখে।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের অসত্য প্রচারণা যে কোনো দেশ এবং তার শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। আমরা একটা স্বাধীন দেশ। আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী চলি। এখানে শ্রমিক, মালিক সবার জন্যই আইন আছে। আইনের আওতায় শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।’