নিজস্ব প্রতিবেদক : নূন্যতম মজুরী ১৫ হাজার টাকা দাবীতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের পোশাক শ্রমিকরা। ত্রি-পক্ষীয় একটি বৈঠকে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত হলেও গতকাল পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলন অব্যাহত থাকায় আশুলিয়ার ৫৫টি পোশাক কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ।
বিজিএমইএ’র এই ঘোষণায় বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বন্ধ রয়েছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের ৫৫টি পোশাক কারখানা। বন্ধ থাকা কারখানার প্রধান ফটকগুলোর সামনে ছাড়াও গোটা শিল্পাঞ্চলে মোতায়েন রয়েছেন কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কারখানার প্রধান ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে- শ্রমিকদের অবৈধ কর্মবিরতি পালনের কারণে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
যে সমস্ত গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে সেই সমস্ত কারখানার শ্রমিকদের কারখানার সামনে অবস্থান করা, আশপাশে ঘোরাঘুরি করা, জটলা পাকানো নিষিদ্ধ। অন্যথায় গ্রেফতার করা হবে বলে মাইকিং করে ঢাকা জেলা পুলিশের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। জলকামান, রায়ট ভ্যানসহ দাঙ্গা দমনে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিকে আপাতদৃষ্টিতে অঘোষিত কারফিউ বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ।
শ্রমিকদের কারখানা কিংবা মহাসড়কে না উঠতেও পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে শ্রমিকদের কর্মবিরতি এবং এর প্রতিক্রিয়ায় মালিকদের কারখানা বন্ধের জেরে আশুলিয়ায় বেশ থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গ্রীণ লাইফ ক্লোথিং লিমিটেড ‘সকালে কারখানায় যাইয়া গেট বন্ধ পাইছি। পুলিশ কারখানার সামনে থাকতে দেয় নাই। তারপর বাসায় চলে আসছি।’
দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিক সাহিদা (২৫) বলেন, ‘কারখানার সামনে নোটিশ দেখেই কারখানা থেকে ফিরে এসেছি। এখন বাসায় বসে থাকা ছাড়া আর কি করবো।’
এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান আসবে।
তবে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের জামগড়া, জিরাবো, নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া এলাকার পোশাক কারখানাগুলো ছাড়া ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) সহ অন্যান্য এলাকার পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
মতামত লিখুন :