Logo

আরও ৯ কারখানার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল অ্যাকর্ড, ১৫ হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

RMG Times
বুধবার, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  আরও নতুন নয়টি কারখানার সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার সেফটি ইন বাংলাদেশ। ২৮ নভেম্বর অ্যাকর্ড এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে তাদের টার্মিনেটেড কারখানার লিস্টে এই নয়টি কারখানার নাম অন্তর্ভূক্ত করে।

কর্মপরিবেশের উন্নয়নে ব্যর্থ কারখানার তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন কারখানাগুলি হলো, হেচং কর্পোরেশন লিমিটেড, হেচং কর্পোরেশন লিমিটেড ইউনিট-২, হেচং সুয়েটার লিমিটেড, তুবা গার্মেন্টস লিমিটেড, রক নীটওয়ার্স লিমিটেড, রিভারসাইড  এপারেলস, এম এস এটায়ারস লিমিটেড, আনাম গার্মেন্টস লিমিটেড ও আশুলিয়া এপারেলস লিমিটেড।

প্রতিটি কারখানার ক্ষেত্রেই কারন হিসেবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করা হয়। কারখানারগুলির মধ্যে হেচং গ্রুপ কারখানা দুটি কমপ্লায়েন্ট কারখানা হিসেবেই পরিচিত ও নামি দামি ব্র্যান্ডের কাজ করে আসছিল। এই দুটি কারখানাসহ ৯টি কারখানায় প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে।

কারখানাগুলি নিয়ে কিছু তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, ৯টি কারখানার মধ্যে কমপক্ষে ৫টি কারখানার বিএসসিআই অডিটের ফলাফল সন্তোষজনক ছিল। তুবা গার্মেন্টসের পরপর ৫টি বিএসসিআই অডিটের ফলাফলই সন্তোষজনক ছিল। তাদের অ্যাকর্ড রিপোর্ট খুঁজতে গিয়ে অন্য কারখানার রিপোর্ট পাওয়া যায় বিধায় তাদের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয় নি।

হেচং গ্রুপের অ্যাকর্ড রিপোর্টে , হেচং কর্পোরেশন এর নামে ২০১৩ সালে স্ত্রাকচারাল ইন্সপেকশন, ২০১৪ সালে ইলেক্ত্রিকাল ও একই বছরে ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে কোন ফলোআপ ইন্সপেকশন বা অডিট হয়েছিল কিনা এমন কোন তথ্য ওয়েবসাইট থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় নাই। হেচং সোয়েটার এর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

কারখানাগুলির সাথে অ্যাকর্ড এর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে অ্যাকর্ডভুক্ত কোন ক্রেতা এসব কারখানায় কাজ করতে পারবেন না। ১৫ হাজার শ্রমিকের কি হবে তাদের মাঝে এখন এ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে।

টার্মিনেট করা একটি কারখানার জনৈক পোশাককর্মী প্রতিবেদককে প্রশ্ন রেখে বলেন, বুঝতে পারছি না আমরা এখন কি করবো। কারখানা বন্ধ করে দিলে আমাদের কর্মসংস্থানের কি হবে? আবার মালিক যদি অন্য কোনোভাবে কারখানা চালাতে চায় তাহলে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?