ডেস্ক রিপোর্ট : যানজট নিরসনে আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো পৃথক দিনে ছুটি দেয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়ায় ঢাকা-বাইপাস সড়কে ‘গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা’ পর্যন্ত সড়কের চার লেন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতি ঈদের আগেই গার্মেন্ট কারখানাগুলো একসঙ্গে ছুটি দেয়ার কারণে ও গাড়ির চাপ বেড়ে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই আমরা বারবার গার্মেন্টস মালিকদের পৃথক তারিখে ছুটি দেয়ার অনুরোধ করলেও তারা তা কার্যকর করেননি। তাই এবার মন্ত্রণালয় থেকে বিজিএমইকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, তারা জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি করবেন না। গার্মেন্টস মালিকরা এ নির্দেশনা মেনে নেবেন।
আগামী কোরবানির ঈদে হাইওয়ের পাশে কোনো পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশু পরিবহনে কোনো আনফিট গাড়ি মহাসড়কে উঠতে দেয়া হবে না। এগুলোকে উত্সমুখেই আটকে দেয়া হবে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, রমজানের ঈদের চেয়ে কোরবানি ঈদ অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। রাস্তার পাশে পশুর হাট বসানো হয়। এছাড়া ফিটনেসবিহীন পশুবাহী গাড়ি মহাসড়কে বিকল হলে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে।
তাছাড়া প্রতি ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা, মির্জাপুর, এলেঙ্গায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পশুবাহী যান রাস্তায় বিকল হওয়ায় এসব যানজট সৃষ্টি হয়। তাই ফিটনেসবিহীন পশুবাহী গাড়িগুলো যেন মহাসড়কে উঠতে না পারে, সেজন্য এর উত্সমুখে বন্ধ করে দেয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের কড্ডা ও বাইমাইল এলাকায় সিটি করপোরেশন ময়লা ফেলায় যানজট সৃষ্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, আর যেন মহাসড়কের ওই স্থানে কোনো ময়লা ফেলা না হয়।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি.এ. কে.এম নাহীন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতামত লিখুন :