ডেস্ক রিপোর্ট : ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় স্বজনদের সাথে ঈদ করা হলো না পোশাক কর্মী যুবক রফিকুল ইসলাম মারুফ ওরফে রনি(২২) ও বেল্লাল হোসেনের(২০)। লাশ হয়ে ফিরল এরা দু’জনই।
সোমবার ভোর ৫টায় মাওয়া-বরিশাল মহাসড়কের বুড়ঘাটায় সড়ক দূর্ঘটনায় ভাড়ায় চালিক মাইক্রোবাস কেড়ে নেয় এ দু’যুবকের প্রাণ। আহত হয় সহযাত্রি ৩বন্ধু। নিহত মারুফ উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড় গ্রামের মনিরুল ইসলাম মিরবহরের বড় ছেলে। সে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরীর পাশাপাশি মিরপুর বাংলা কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষে লেখাপড়া করত।
বেল্লাল হোসেন একই পাড়ার কবির খলিফার ছেলে। সে একটি গার্মেন্ট এ কাজ করত। গত দুই মাস পূর্বে বরিশাল আগলঝাড়ায় সে বিবাহ করে। ঈদে নববধূকে নিজ বড়িতে তুলে আনার কথা ছিলো। বরিশাল শের-ই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বিকেল মারুফ ও বেল্লালের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে নেমে আসে শোকের ছাড়া। এক নজর দেখার জন্য ছুঁটে আসে শতশত মানুষ। স্বজনদের আহাজারি ও কান্নায় ভারি হয় আমুয়ার বাতাস।
স্থানীয়া জানান, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এলাকার ৫ যুবক মিলে ভাড়ায় চালিত মাইকোবাসে করে মাওয়া থেকে বাড়ি আসছিল। এসময় দূর্ঘটনায় আহত হয় মো. বাবুল ফরাজী(৩০), আরিফুল ইসরাম আরিফ(২২) ও রুবেল হোসেন(২৫)। আহতরা সবাই আমুয়া পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা।
মতামত লিখুন :