ফজলুল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের যেসব বড় ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করেন তাদের প্রায় সবই ঢাকায় অফিস খুলেছেন। ক্রেতার পক্ষে ঢাকায় পোশাকের অর্ডারের তদারকি করেন তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি। এছাড়া যারা সরাসরি পোশাক আমদানি করেন তাদের বাইরেও অনেকে এখানে বায়িং হাউস খুলে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু এসব অফিস এবং বায়িং হাউসগুলোতে বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নানা অনিয়ম আর দেশীয় কর্মকর্তাদের উপর অবিচার করা হচে। বাংলাদেশী কিছু সুবিধাভোগী অসাধু কর্মকর্তাদের প্ররোচনায় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশী কর্মকর্তাগুলোও দেশের আইন ভঙ্গ করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বতর্মানে পোশাক শিল্প কারখানায় শতভাগ কমপ্লায়েন্স খোজা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোই দেশীয় আইনের তোয়াক্কা না করে নানারকম অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে।
আরএমজি টাইমসের একটি অনুস্ধানী টীম বেশ কয়েকটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী অফিসে আইন বহিঃর্ভুত কর্মকান্ডের প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়োগপত্র, অর্জিত ছুটি, ও প্রয়োজন সুবিধা না দেয়া সহ নানারকম আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিদেশী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতের অমিল কিংবা তাদের মনোপূর্ত না হলেই বিনা নোটিশে জোরপূর্বক চাকরীচ্যুত করার ঘটনা যেনো অতি স্বাভাবিক ঘটনায় রুপ নিয়েছে।
সম্প্রতি জার্মান ভিত্তিক একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ অফিস থেকে জোরপূর্বক চাকরীচ্যুত হওয়া একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, কোনো রকম সুযোগ সুবিধা না দিয়ে জোর পূর্বক রিজাইন পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে চাকরীচ্যুত করা এই অফিসে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। চাকরীচ্যুত করে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়নি। আমরা প্রতিবাদ করে আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে আমাদের নানাভাবে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
মতামত লিখুন :