Logo

চট্টগ্রাম অতিক্রম করছে ‘রোয়ানু’,

Fazlul Haque
শনিবার, মে ২১, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনা ও পটুয়াখালীর পর ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আজ শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে।

3be6a2d35705f946005c93ec213d9b46-IMG_20160521_111433

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম এর আগে প্রথম আলোকে বলেন, রোয়ানুর বাতাসে গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটারের বেশি হবে না। এই বেগ ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার হলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকত। তা ছাড়া রোয়ানু শ্রীলঙ্কা থেকে এ পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়ে এসেছে। বৃষ্টি হলে ঘূর্ণিঝড় এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, রোয়ানু আজ সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। একই সময়ে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব ও কক্সবাজার থেকে ১৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। দমকা অথবা ঝোড়ো বাতাসের আকারে এটি ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ৬ নম্বর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এ অঞ্চলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এ অঞ্চলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার-পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সুত্র : প্রথম আলো