Logo

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে সকল কার্যক্রম বন্ধ, বিমান বন্দরে বন্ধ বিমান

Fazlul Haque
শনিবার, মে ২১, ২০১৬
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দেশের উপকূল ও দক্ষিণাঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির বলেন, দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজ সকালে বিমান ওঠানামা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখান থেকে ছাড়ার সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের সব কর্মকর্তা এবং অন্য বিমানবন্দরকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরের স্টেশন কর্মকর্তা মোহম্মদউল্লাহ বলেন, সর্বশেষ দুবাইগামী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বিমান উড়েছে। এর পর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকালে বাংলাদেশের বিমানের একটি ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত শনিবার বিমানের দরজা খুলে যাওয়া বিমানটি মেরামত করা হয়েছে এবং এটি গতকাল বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে।

অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শনিবার সকাল আটটা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সব ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেটিতে পণ্যের ওঠানামা ও খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাহাজ সাগরে পাঠানো হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপৎসংকেত ঘোষণা করার পরই গতকাল শুক্রবার বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। গতকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক করে প্রস্তুতি নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ধাপে ধাপে সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বন্দর পর্ষদ সদস্য জাফর আলম বলেন, বন্দরের মূল জেটি ও বিশেষায়িত জেটিতে অবস্থানরত ১৯টি জাহাজের মধ্যে পাঁচটি গতকাল রাতে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালের জোয়ারেও ১১টি পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনটি জাহাজও পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেটিতে জাহাজ রাখা হলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে জেটি থেকে সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই ছোট আকারের লাইটার জাহাজ বন্দরের উজানে বাংলাবাজার এলাকায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ নির্দেশনার পর পণ্যবাহী ও খালি লাইটার জাহাজ বন্দরের উজানে এনে রাখা হয়।

বন্দর সূত্র জানায়, বন্দরে এ মুহূর্তে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি জাহাজ অবস্থান করছে। আজ বন্দরে ১৪৩টি বড় জাহাজ ছিল। এর মধ্যে কুতুবদিয়া গভীর সাগরে ১৬টি, বহির্নোঙরে ‍১২৪টি ও জেটিতে তিনটি জাহাজ রয়েছে। জেটির তিনটি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।