Logo

বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিন মাস সময় চাইবে বাংলাদেশ

RMG Times
সোমবার, এপ্রিল ৭, ২০২৫
  • শেয়ার করুন

বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর থেকেই দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে গতকাল বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার। অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সরকারের প্রতিনিধির কাছে তিন মাস সময় চেয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে আয়োজিত এ বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন; প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান; প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর; বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী; ১০ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের করণীয় নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে কী কী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে কাছে তিন মাস সময় চেয়ে অনুরোধ করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় সভায়। এ সময়ের জন্য বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হবে চিঠিতে।

বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপ নিয়ে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ চারটি বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সক্ষমতা অন্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আরো বাড়ানো হবে, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ মনে করে বাংলাদেশের পণ্য অন্য দেশের তুলনায় ভালো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুধু পণ্য নয়, অন্য সেবাও আমদানি করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অশুল্ক বাধা দূর করা হবে, সেটি অফিশিয়াল ও নন-অফিশিয়াল (আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক)। এগুলোকে আরো যৌক্তিক ও সহজ করা হবে যাতে করে দুই দেশের বাণিজ্য প্রসার লাভ করে।’

শুল্ক আরোপের বোঝা বাংলাদেশের ওপর খুব বেশি চাপানোর সুযোগ নেই উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শুল্ক আরোপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, চীনসহ বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তির দেশগুলোও পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা জানা নেই। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক, যুক্তরাষ্ট্র এর বড় বাজার। এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা যাতে আরো বাড়ানো যায়, যেন অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারি। আমরা মনে করি যে সেটা সম্ভব হবে। তবে শুল্ক আরোপের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও মধ্যস্বত্বভোগী প্রতিষ্ঠান যেমন বায়িং হাউজ তাদের ওপর পড়বে। এর প্রভাব আমাদের ওপর কতখানি পড়বে সেটি তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া হতে হবে। আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকের মজুরি সর্বনিম্ন জায়গায় আছে। এর থেকে আর কমানো যাবে না এখন। কাজেই বাড়তি করের বোঝা কিন্তু অন্যদিকেই যাবে। আমাদের ওপর আর বেশি এ বোঝা চাপানো সম্ভব নয়। এটি সবাই বুঝবে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যারা পরিচালনা করেন বা নীতিনির্ধারক—তারাও জানেন যে আমাদের দিক থেকে শ্রমিকের খরচ কমানো যাবে না। আমরা তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর চেষ্টা করব।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ও অশুল্ক সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের পর থেকে আমাদের অবস্থা নিরূপণের জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সহায়ক এবং এটিকে কীভাবে যথাযথভাবে তাদের কাছে উপস্থাপন করব সেই কৌশলগুলো বোঝার জন্যই এ আলোচনা। সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। সে অনুসারেই আমরা আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব। শুল্ক ও অশুল্ক সম্পর্কিত যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলোকে রহিত করা কিংবা পুনর্মূল্যায়ন করার পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করব।’

প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসে কথা বলেছেন। সেখান থেকে যে সংকেত পাওয়া গেছে, তাতে বাংলাদেশের চিন্তাধারার সঙ্গে তাদের সাযুজ্য রয়েছে। আগামী এক-দুইদিনের মধ্যে করণীয়গুলো চূড়ান্ত করতে পারব বলে আশা করছি।’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী বলেন, ‘আজকের (গতকাল) আলোচনা থেকে আমরা একটি পথনির্দেশনা পেয়েছি যেটা আমাদের জন্য সুখবর। আমাদের সম্ভাবনা অনেক রয়েছে। বাংলাদেশেও রফতানি পণ্যের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক একমাত্র পণ্য নয়। অন্যান্য পণ্যও রয়েছে। সেগুলোর ক্ষেত্রেও আমাদের সুযোগ রয়েছে।’

এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেটি একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আমরা মনে করি যে শুল্কের বিষয়টি এড়ানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশের স্বার্থ মাথায় রেখে আমাদের সুযোগগুলো বের করতে হবে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে যাতে আমাদের কম্পিটিটিভনেস না কমে যায় সেই বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে আশ্বস্ত হয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলে আমরা বেসরকারি খাত বিশ্বাস করি যে আমরা পেরেছি এবং আমরা পারব। এ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব সরকারের। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বাংলাদেশ আর কী কী জিনিস কিনতে পারে যেটা দেশের স্বার্থে কাজে লাগবে সেই বিষয়ে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য পোশাক খাতের বাইরে নতুন অনেক দুনিয়া আছে, সেসব বাজার খুঁজে বের করতে হবে।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেব। তারপর পরিস্থিতি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা ও আমাদের প্রত্যাশার মধ্যে যাতে ভারসাম্য রক্ষা করা যায় সেদিকে জোর দেব।’

মার্কিন শুল্কের বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুটি চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ও অপর চিঠিটি বাণিজ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) কাছে পাঠানো হবে। চিঠির ভাষা বাণিজ্যবান্ধব হবে এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হবে। বাংলাদেশের যেসব প্রতিযোগী দেশ রয়েছে, তাদের তুলনায় বাংলাদেশ যাতে আরো বেশি ব্যবসায়ীবান্ধব হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে, সে বিষয়গুলো চিঠিতে তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক যাতে একটি উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করে এবং বাংলাদেশের পণ্য যাতে আরো বেশি মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশাল বাজারে বাংলাদেশের আরো অনেক পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।’

সভায় আলোচনা প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে দুদিনের মধ্যে একটা চিঠি ইউএসটিআরের কাছে দেবে। চিঠিতে নানারকম বিষয় প্রস্তাব করা হবে। এর মধ্যে অনেক কিছু থাকবে, যেমন অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয়, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। সব ধরনের বিষয় চিঠিতে অ্যাড্রেস করা হবে। আশা করি ওনারা দ্রুতই চিঠি দেবেন। আমি মনে করি এমন একটা চিঠি দেয়া প্রয়োজন যেটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে টুইট করবেন, এমন মত প্রকাশ করে রুবানা হক বলেন, কার্যকর একটি পদক্ষেপ নেয়া খুবই প্রয়োজন। আমার মনে হয় হাই-পাওয়ারড একটা ডেলিগেশন যদি সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেত তাহলে হয়তো কাজ হতো।’

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী। মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে সরকার সঠিক পথেই এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি যাবে। আমরা কী করতে চাচ্ছি, কী চাই সেটি চিঠিতে থাকবে। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অশুল্ক বাধা দূর করার বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনার জন্য চিঠিতে তিন মাসের সময় চাওয়া হবে। সময় দেয়া না দেয়ার বিষয়টি তাদের ব্যাপার, তবে আমরা আশাবাদী।’

সরকারের পক্ষ থেকে ‌এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। গতকাল ঢাকার গুলশানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত ‘ব্রেকফাস্ট অন ট্রেড ব্যারিয়ার্স’”শীর্ষক বৈঠক করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা মো. আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তৈরি পোশাকের রফতানি বাজারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে কম্বোডিয়া। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ইউনিভার্সেল ট্যারিফের আওতায় ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ ও কম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আরোপিত শুল্ক কমিয়ে আনার জন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশ দুটি।